রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, চীনা নেতা শি জিনপিং এবং উত্তর কোরিয়ার স্বৈরশাসক কিম জং-উনকে “স্মার্ট” বলে অভিহিত করে একাধিক স্বৈরাচারী নেতার প্রশংসা করেছেন আমেরিকার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডনাল্ড ট্রাম্প। জর্জিয়ায় এক সমাবেশে ট্রাম্প এই স্বৈরাচারী নেতাদের শক্তিশালী বলে উল্লেখ করে বলেছেন, “সবচেয়ে বুদ্ধিমান ব্যক্তিরাই শীর্ষে যায়।” ট্রাম্পের মতে, চীনের শি স্মার্ট কারণ তিনি “শক্ত হাতে ১.৫ বিলিয়ন মানুষকে পরিচালনা করেন”, পাশাপাশি উত্তর কোরিয়ার কিমকে “কঠোর শাসক” বলে অভিহিত করেছেন ট্রাম্প।
শি এবং কিম উভয়েই মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দ্বারা ব্যাপকভাবে নিন্দিত হয়েছেন। ট্রাম্পের মুখে পুতিনেরও প্রশংসা শোনা গেছে। তিনি পুতিনকে ‘স্মার্ট ‘প্রেসিডেন্ট বলে উল্লেখ করেছেন। পুতিন ইউক্রেন আক্রমণ করে একটি “বড় ভুল” করেছেন সেকথা মেনে নিয়ে ট্রাম্প বলেছেন যে এই আক্রমণের আগে সীমান্তে প্রায় ২ লক্ষ রাশিয়ান সেনার উপস্থিতি দেখে মনে হয়েছিল কোনো মহান আলোচনা সংঘটিত হতে চলেছে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউক্রেন আক্রমণ করার আগে পূর্ব ইউক্রেনের দুটি বিচ্ছিন্নতাবাদী অঞ্চলকে স্বাধীন হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা করার পরে ট্রাম্প পুতিনকে “খুবই বুদ্ধিমান” বলেছিলেন।
যার জন্য ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকান উভয়েরই সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যদিও পরে ট্রাম্প নিজের মন্তব্যগুলি ফিরিয়ে নেন এবং রাশিয়ান আক্রমণের নিন্দা করেন। শনিবারের সমাবেশের সময় ট্রাম্প আরো বলেন, ”রাষ্ট্রপতি বাইডেন কর্তৃত্ববাদী নেতাদের তুলনায় দুর্বল ছিলেন।
ইউক্রেনে হামলার পর থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে চলছিলেন। এর পেছনের মূল কারণ তাঁর ছেলে, কারণ ইউক্রেনে তাঁর ছেলের ব্যবসায়িক লেনদেন ২০২০ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময়ে অন্যতম বিষয় হয়ে উঠেছিল।” ২০২০ সালের অক্টোবরে নিউ ইয়র্ক পোস্টের একটি প্রতিবেদনে ইউক্রেনের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বাইডেনের একটি বৈঠকের কথা প্রকাশ করা হয়েছিল, যেখানে লেনদেনের বিষয় নিয়ে কিছু অসঙ্গতির ইঙ্গিত রয়েছে। এরপরই GOP বা রিপাব্লিকন পার্টির নেতারা হারানো জমি ফিরে পাবার লক্ষ্যে বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন।