ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ায় একই পরিবারের চার সদস্য খুনে চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি দিয়েছেন গ্রেফতার গৃহবধূ পল্লবী ঘোষ। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করেছিল মা, ভাই, ভাবি ও ভাইঝিকে খুন করেছেন পল্লবীর স্বামী দেবরাজ ঘোষ। তবে পল্লবী ঘোষ নিজেই চারজনকে খুন করেছেন বলে জেরায় স্বীকার করেছেন।
শুধু তাই নয়, তার স্বীকারোক্তিতে কার্যত হতবাক পুলিশ কর্মকর্তারাও। পুলিশের কাছে ওই অভিযুক্ত নারী বলেছেন, ‘চারজনকে আমিই খুন করেছি। আমি রেগে গেলে সবকিছু করতে পারি। নিজের স্বামী এমনকি নিজেকেও মেরে ফেলতে পারি।’
খুনের ঘটনায় প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান ছিল, সম্পত্তিগত বিবাদ নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল। কিন্তু ওই গৃহবধূ পুলিশকে জানিয়েছেন, ‘পানির কল খোলা রাখা নিয়ে ভাসুর ও জায়ের সাথে ঝগড়া হয়। তারপর আমি দোতলায় ছেলেকে বন্ধ করে কাটারি (দা) নিয়ে নিচে নামি এবং সবাইকে কুপিয়ে খুন করি।’
খুনের সময় তার স্বামী দেবরাজ উপস্থিত ছিল না বলেই দাবি করেছেন ওই নারী।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই নারী বারবার জানতে চাচ্ছেন, ‘ওই চারজনই মারা গিয়েছে তো!’ আবার মাঝেমধ্যেই তিনি কেঁদে ফেলছেন এবং চিৎকার চেঁচামেচি করছেন।
বুধবার রাতে হাওড়ার এম সি ঘোষ লেনে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। পল্লবীর শাশুড়ি মাধবী ঘোষ, ভাসুর দেবাশিস ঘোষ, জা রেখা ঘোষ এবং দেবাশিসের ১৩ বছরের মেয়ে কৃষ্ণা ঘোষকে কুপিয়ে খুন করা হয়।
তবে পল্লবী ঘোষ নিজেই খুনের দায় স্বীকার করলেও পুলিশের অনুমান, দেবাশিসকে কুপিয়ে খুন করে দেবরাজ ও তার স্ত্রী। এরপর রেখাকে খুন করে। তাদের ১৩ বছরের মেয়ে কৃষ্ণা প্রতিবেশীদের চিৎকার চেঁচামেচি করে ডাকতে গেলে তাকেও খুন করে। ঘটনার পরেই সেখানে ছুটে যান হাওড়ার পুলিশ কমিশনার ও গোয়েন্দা বিভাগের কর্তারা।
ঘটনার পর থেকে দেবরাজ পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ।