পাকিস্তানে মৌসুমি বৃষ্টিতে অন্তত ৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী শেরি রেহমান। এ ছাড়া সামনে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও সতর্ক করেন তিনি।
বুধবার (৬ জুলাই) রাজধানীতে একটি সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি।
শেরি রেহমান বলেন, আমার জন্য এটি একটি জাতীয় দুর্যোগ। বর্ষণ শুরুর প্রথম দিন ১৪ জুন থেকে নিহতের সংখ্যার হিসাব রাখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, মানুষ যখন এভাবে মারা যাচ্ছে, এটা ছোট বিষয় নয়। এটা শুধু শুরু। এর জন্য আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে।
বেশির ভাগ মৃত্যু হয়েছে পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ বেলুচিস্তানে। সেখানে ৩৯ জন মানুষ ডুবে অথবা বিদ্যুতের লাইন ছিড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎস্পর্শে মারা গেছে।
বর্ষাকাল ভারতীয় উপমহাদেশে সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী হয়। কিন্তু প্রতি বছর ধ্বংসের ঢেউ নিয়ে আসে।
পাকিস্তানজুড়ে বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় হালকাভাবে নির্মিত বাড়িগুলো বন্যায় ধসে পড়ার প্রবণতা রয়েছে। এ ছাড়া প্রধান কৃষি জমির বিশাল অংশও ধ্বংস হতে পারে।
২০১০ সালে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা হয়েছিল।দেশটির প্রায় এক পঞ্চমাংশ ডুবে গিয়েছিল। এতে প্রায় দুই হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল এবং দুই কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছিল৷
পরিবেশবিষয়ক এনজিও জার্মানওয়াচের বৈশ্বিক জলবায়ু ঝুঁকি সূচকে, পাকিস্তান জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট বিরূপ আবহাওয়ায় সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে অষ্টম।
শেরি রহমান বলেন, একদিন আপনার খরা হবে এবং পরের দিনই সকালে আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা। তাই দেখতেই পাচ্ছেন পাকিস্তানে পরিস্থিতি কতটা গুরুতর।