পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান বলেছেন, পাকিস্তানে গণতন্ত্র এখন সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে। রোববার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজকে দেওয়া এক এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে এমন অভিযোগ করেন তিনি।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ জানিয়েছে, ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ ইন্টারভিউয়ে পিটিআই প্রধান পাকিস্তানের বর্তমান গণতন্ত্রের অবস্থা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেছেন, পাকিস্তানে এখন গণতন্ত্র ‘সর্বকালের সর্বনিম্ন’ পর্যায়ে রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর প্রথম বিশদ সাক্ষাৎকারে ইমরান খান জনগণের অধিকার ও স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের জন্য আদালতকে দেশের ‘একমাত্র ভরসা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, কেবল বিচার বিভাগেই তার বিশ্বাসের প্রতিফলন ঘটেছে।
পিটিআই চেয়ারম্যান বলেন, ‘গণতন্ত্র সর্বকালের সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে। আমাদের একমাত্র আশা বিচার বিভাগ।’
ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদ বনে যাওয়া ইমরান খান গত বছরের এপ্রিলে সংসদে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতা হারান। তার পর থেকেই আগাম নির্বাচনের দাবিতে বড় বড় সমাবেশ ও অন্যান্য কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন তিনি।
পিটিআই নেতা সম্প্রতি তাকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার পর নিজের কষ্টদায়ক অভিজ্ঞতাও শেয়ার করেন সাক্ষাৎকারে। তিনি বর্ণনা করেছেন- কীভাবে তার বাসভবনে দুইবার পুলিশ অভিযান চালিয়েছিল।
তিনি বলেছেন, এর মধ্যে একটি অভিযানের সময় কর্তৃপক্ষ তার স্ত্রীর উপস্থিতিতে তার বাড়ির দরজা জোরপূর্বক ভেঙে ফেলেছিল এবং এটিকে নিজের জন্য একটি ‘অভূতপূর্ব এবং অস্থির পরিস্থিতি’ বলে অভিহিত করেন তিনি।
পাকিস্তানে গণতন্ত্রের অবনতিশীল অবস্থার উপর জোর দিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে প্রায় ১৫০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এত বিশাল সংখ্যক মামলা এর আগে দেশের অন্য কোনো রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়নি।
সরকার নির্বাচনে ভয় পাচ্ছে অভিযোগ করে খান বলেন, তারা (ক্ষমতাসীন জোট) বিশ্বাস করে যে, নির্বাচনে একটি উল্লেখযোগ্য পরাজয়ের সম্মুখীন হবে তারা।
‘সরকার নির্বাচনের ভয়ে ভীত এবং তারা নির্বাচনে পিটিআইয়ের মাধ্যমে নিশ্চিহ্ন হওয়ার আশঙ্কা করছে,’ বলেন ইমরান খান।