শেষ পর্যন্ত রক্ষা হলো না যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের। পার্টিগেট কেলেঙ্কারির ঘটনায় দেশটির জনগণ ও রানির কাছে ক্ষমা চেয়েও পার পাননি তিনি। লকডাউন অমান্য করে পার্টি করায় যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী ঋষী সুনাককে জরিমানা গুনতে হচ্ছে।
মঙ্গলবার ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বিষয়ে লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। দুই নেতাকে জরিমানার পরিমাণ জানিয়ে আরেকটি নোটিশ দেওয়া হবে।
এছাড়াও বরিস জনসনের স্ত্রী ক্যারি জনসনকেও একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ জরিমানার নোটিশ দিবে পুলিশ।
এ বিষয়ে লেবার নেতা স্যার কেয়ার স্টারমার এবং স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টারজন বলেন, প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও অর্থমন্ত্রী ঋষী সুনাককে পদত্যাগ করতে হবে।
এর আগে এই পার্টিগেট কেলেঙ্কারি নিয়ে বিলম্বে তদন্ত শুরু করার জেরে মেট্রোপলিটন পুলিশের বিরুদ্ধে কথা উঠায় চীফ পুলিশ কমিশনার ক্রেসিডা ডিক দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান। অবশ্য আরো কিছু কারণও ছিল তার দায়িত্ব ছাড়ার পেছনে।
২০২০ সালে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও বাসভবন ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে কয়েক দফায় পার্টির আয়োজন করা হয়। যদিও সে সময় সাধারণ মানুষের জন্য কোথাও সমবেত হওয়া দূরের কথা, সর্বত্র সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে নির্দেশনা ছিল।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনাবিধি ভেঙে ডাউনিং স্ট্রিট ও হোয়াইট হলে ১২টি জনসমাগমের অভিযোগ তদন্ত করছে লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ। এসব ঘটনায় এরইমধ্যে অর্ধশতাধিক মানুষকে জরিমানা করা হয়েছে।
যাদের জরিমানা করা হচ্ছে, তাদের সবার নাম প্রকাশ করবে না পুলিশ। তবে জরিমানাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের তালিকায় প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও অর্থমন্ত্রী ঋষী সুনাক থাকলে তাদের নাম প্রকাশের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর মুখপাত্র জানান, জরিমানার বিষয়টি কোন ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাদের সে বিষয়ে এখনো জানানো হয়নি।