অত্যাধুনিক এই ক্রুজ শিপটি হবে চার তারকা মানের ভাসমান হোটেল। এতে রয়েছে কেবিনে বসে সমুদ্র দেখার সুযোগ। থাকছে সুসজ্জিত ব্যালকনি, বিলাসবহুল স্যুট, খাবারের জন্য একাধিক ডাইনিংসহ নানা ধরনের অনুষ্ঠান এবং সব বয়সের মানুষের জন্য বিনোদনের সুব্যবস্থা।
১৬ তল বিশিষ্ট এমএসসি পোয়েসিয়ায় রয়েছে মোট ১ হাজার ২৬৫টি কেবিন, তিনটি সুইমিং পুল, একটি স্পা অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার, সিনেমা, পুলসাইড, টেনিস ও বাস্কেটবল কোর্ট, চারটি ডাইনিংয়ের পাশাপাশি ১৫টি কফিশপ এবং অনুষ্ঠানের স্থান।
তবে এর তুলনায় এমএসসি ওয়ার্ল্ড ইউরোপা আরও বড়। ২২তলা জাহাজটিতে কেবিনই রয়েছে ২ হাজার ৬২৬টি।
এবারের ফুটবল বিশ্বকাপ দেখতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ১২ লাখের বেশি মানুষ কাতার যাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এসব ভ্রমণকারীর রাতযাপনের জন্য ভাসমান হোটেলের পাশাপাশি অত্যাধুনিক সুবিধাযুক্ত অ্যাপার্টমেন্ট, হোটেল রুম, ভিলা, ফ্যান ভিলেজ, এমনকি মরুভূমিতে ক্যাম্পেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কাতার ট্যুরিজমের চেয়ারম্যান এবং কাতার এয়ারওয়েজ গ্রুপের প্রধান নির্বাহী এইচ ই আকবর আল বাকের রোববার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ভাসমান হোটেলে থাকার ব্যবস্থা এবং বিনোদনমূলক সেবাগুলো ‘ইতিহাসের সেরা বিশ্বকাপ’ আয়োজনের জন্য তাদের কঠোর প্রচেষ্টারই প্রতিফলন।
বিশ্বকাপ উপলক্ষে পাঠানো তিনটি ক্রুজ শিপের মালিক এমএসসি গ্রুপ জানিয়েছে, তাদের প্রতিটি জাহাজের ধারণক্ষমতা অন্তত ১০ হাজার বেড এবং বিশ্বকাপের প্রথম সপ্তাহের জন্য এগুলোর রিজার্ভেশন শতভাগ পূরণ হয়ে গেছে।
কাতার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ফুটবলপ্রেমীদের অনেকেই কাতারে থাকার জায়গা না পেলে সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান বা ইরানের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোকে বিকল্প হিসেবে বেছে নেবেন। সেক্ষেত্রে তারা ফুটবল ম্যাচ দেখেই যেন ফিরে যেতে পারেন, সেজন্য ‘শাটল’ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।