দুর্নীতি মামলায় পাকিস্তান মুসলিম লীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট মরিয়ম নওয়াজ ও তার স্বামী মুহাম্মদ সফদারকে খালাস দিয়েছে ইসলামাবাদের হাইকোর্ট। এই রায়ের ফলে এখন থেকে দেশটির যেকোনো নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন তিনি। পাকিস্তানের তিন বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের মেয়ে হলেন মরিয়ম নওয়াজ। বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ডনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
২০১৮ সালের জুলাইতে লন্ডনে বাবা নওয়াজ শরীফকে বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট কেনার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করার জন্য মরিয়মকে সাত বছরের ও তার স্বামীকে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তাছাড়া এ মামলায় নওয়াজ শরীফকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তবে ২০১৯ সালে চিকিৎসার জন্য শরীফকে জামিন দেওয়া হয়। এরপর তিনি লন্ডন চলে গেলে আর ফিরে আসেননি।
তাছাড়া ২০১৯ সালে মরিয়ম নওয়াজকেও জামানি দেওয়া হয়। পরে গত বছরের অক্টোবরে ইসলামাবাদের হাইকোর্টে ২০১৮ সালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন তিনি।
বৃহস্পতিবারের রায়ের পরে গণমাধ্যমে মরিয়ম নওয়াজ বলেন, পাকিস্তানের ইতিহাসে অন্য কোনো নেতা তার বাবার মতো এত নিপীড়নের মুখোমুখি হননি, যা প্রমাণিত হয়েছে।
এদিকে তার চাচা ও পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এক টুইট বার্তায় বলেন, আদালতের রায় তথাকথিত জবাবদিহি সিস্টেমের বিরুদ্ধে বড় আঘাত।
কিন্তু ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের নেতারা এ রায়ের সমালোচনা করেছেন। ইমরান খানের সময়ের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী এক টুইট বার্তায় বৃহস্পতিবারের রায়কে একটি কালো দিন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।