তুরস্কের আকাশে বিরল গঠন ও রঙের মেঘ দেখা গেছে। অনেকটা ডিম্বাকৃতি ও লাল আভার ওই মেঘকে ভিনগ্রহ থেকে আসা ইউএফও (আনআইডেন্টিফাইড ফ্লায়িং অবজেক্ট) মনে করে বিস্মিতও হয়েছেন অনেকে।
জানা যায়, ১৯ জানুয়ারি সকালে তুরস্কের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর বুরসা থেকে অদ্ভুত আকৃতির ওই মেঘ দেখা যায়। অনেকে এমন বিষ্ময়কর মেঘে দেখতে ঘর থেকে বেরিয়ে খোলা জায়গায় জড় হন। ছবি তুলে, ভিডিও করে বিষয়টিকে স্মরণীয় করে রাখেন তারা। সেখান থেকেই বেশ কয়েকটি ছবি টুইটারসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
দেখতে অদ্ভুত ওই মেঘের ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয় সারাবিশ্বে। অসংখ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী মেঘটি দেখতে ইউএফও’র মতো বলে দাবি করেছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান বলে, তুরস্কের আকাশে সূর্যোদয়ের সময় প্রায় বৃত্তাকার ঢেউয়ের মতো ওই মেঘ দেখা যায়। মাঝখানে গর্ত থাকা মেঘটি প্রায় এক ঘণ্টার মতো আকাশে ছিল।
তুরস্কের আবহাওয়াবিদরা জানান, এটি ইউএফও’র আকার ধারণ করলেও এটি সাধারণ মেঘপুঞ্জই, যাকে ইংরেজিতে লেন্টিকুলার ক্লাউড বলা হয়। বিশেষ ধরনের এ মেঘ রূপ আকার ধারণ করে। সচরাচর এ মেঘ আকাশে দুই হাজার থেকে পাঁচ হাজার মিটার উচ্চতায় ভেসে থাকে।
সাধারণত পাহাড়ের দিক থেকে আর্দ্রতাপূর্ণ ঠান্ডা বাতাস দ্রুতগতিতে ভেসে এলে এ ধরনের মেঘ তৈরি হয়। বছরের অন্যান্য সময়ে দেখা গেলেও, বেশিরভাগ সময় শীতকালের আকাশে এ ধরনের মেঘ জমতে দেখা যায়। সাধারণত আকাশে এ মেঘ দেখা গেলে পরের দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকে ও ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।
এ ধরনের মেঘের গঠন সাধারণত পার্বত্য অঞ্চলগুলোতে দেখা যায়। মারমারা সাগরের নিকটবর্তী বুরসা শহর প্রায় আড়াই হাজার মিটার উচ্চতাবিশিষ্ট উলুদাগ পর্বতের পাদদেশে অবস্থিত। তাই এখানে এ মেঘ দেখা দেওয়া কোনো অস্বাভাবিক ঘটনা নয়।