মোগল সম্রাট শাহজাহানের নির্মিত তাজমহল বাস্তবে কোনো সমাধিসৌধ নয়, বরং এটি একসময় শিব মন্দির ছিল দাবি করে সেখানে শিবলিঙ্গ স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছেন উত্তর প্রদেশের এক সন্ন্যাসী। আগামী ৫ মে বিশ্বঐতিহ্য স্বীকৃত স্থাপনাটিতে শিবলিঙ্গ স্থাপনে পশ্চিম পাশের গেটে সব অনুসারীকে সমবেত হতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
ভারতীয় সংবাদমধ্যমগুলো জানিয়েছে, অযোধ্যার ছাবনি এলাকার ওই সন্ন্যাসীর নাম জগৎগুরু পরমহংস আচার্য মহারাজ। কিন্তু হঠাৎ তাজমহলে তিনি শিবলিঙ্গ স্থাপন করতে চাচ্ছেন কেন?
জানা গেছে, সম্প্রতি তাজমহলে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছিল পরমহংস আচার্য মহারাজকে। তিন শিষ্যকে নিয়ে তাজমহল ঢুকতে চাইলে তাদের পথ আটকায় নিরাপত্তারক্ষীরা। সেখানে নিযুক্ত আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার কর্মকর্তাদের নির্দেশেই এই সন্ন্যাসীকে ভেতরে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
মহারাজের দাবি, গেরুয়া বসন পরে থাকার জন্যই তাদের বাধা দেয় কর্তৃপক্ষ। আর তার জেরেই ক্ষুব্ধ এ সন্ন্যাসী তাজমহলে শিবলিঙ্গ স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার দাবি, তাজমহলের আসল নাম তেজো মহালয়, যা ছিল একটা শিব মন্দির। পরে মোগলরা এটিকে তাজমহল বলা শুরু করে।
তবে গত ২৭ এপ্রিলের সেই ঘটনা প্রসঙ্গে পুরাতত্ত্ববিদ রাজকুমার প্যাটেল বলেছেন, ওই সন্ন্যাসীর হাতে একটি ধাতব ধর্মদণ্ড ছিল। সেটি দেখেই নিরাপত্তরক্ষীরা তার পথ আটকায়। তাকে ধর্মদণ্ডটি রেখে ভেতরে যেতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি সেই শর্ত মানতে রাজি হননি।