ডিপফেক ভিডিও তৈরিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপব্যবহারের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) দিল্লিতে বিজেপির সদর দপ্তরে দিওয়ালি মিলন অনুষ্ঠানে তিনি তার উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
সম্প্রতি মোদীর গরবা নাচের একটি ডিপফেক ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর এ বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। নরেন্দ্র মোদী চ্যাটজিপিটি টিমকে ডিপফেক শনাক্ত করতে ও ইন্টারনেটে এই ধরনের ভিডিও প্রচারিত হলে তা নিয়ে সতর্কতা জারি করারও নির্দেশ দিয়েছেন।
ডিপফেক ভিডিওটির কথা উল্লেখ করে মোদী বলেন, সম্প্রতি আমি একটি ভিডিও দেখেছি, যেখানে আমাকে গান গাইতে দেখা যাচ্ছে। দেখলাম, আমি গরবা নাচ করছি। যারা আমাকে ভালোবাসেন, তারা ভিডিওটি ফরওয়ার্ড করেছেন। নয়াদিল্লিতে বিজেপির হেড কোয়ার্টারে দিওয়ালি মিলন উৎসবের দিন সেই ভিডিও করা হয়েছে বলে বোঝা যাচ্ছে। কিন্তু বিশ্বাস করুন, আমি স্কুলের পর কোনো দিনও গরবা নাচ করিনি।
তিনি বলেন, সাধারণ মানুষকে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে আরও সচেতন করে তুলতে হবে। আর বর্তমানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, ডিপফেক প্রযুক্তি নিয়ে সচেতনতা গড়ে তোলা।
ভারতীয় অভিনেত্রী রশ্মিকা মান্দানা, ক্যাটরিনা কাইফ এবং কাজল-এর ছবি ব্যবহার করে সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে অনেক ডিপফেক ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর নরেন্দ্র মোদীর ভিডিও সামনে এসেছে, যা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এরপরই তিনি এ প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছেন।
ডিপফেক ভিডিও নিয়ে বেশ হইচই শুরু হয়েছে ভারতে। বিশেষ করে, জনপ্রিয় ব্যক্তিদের মধ্যে বেশি উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। কারণ তাদের মুখের ভিজ্যুয়াল নিয়েই ফেক ভিডিওগুলো তৈরি করা হচ্ছে। অমিতাভ বচ্চনসহ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বেশ কয়েকজন খ্যাতিমান শিল্পী ও কলাকুশলী এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
দেশটির কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর বলেছেন, ভুল তথ্যের বিস্তার রোধ করা অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোর জন্য এটি ‘আইনি বাধ্যবাধকতা’৷ এই ধরনের বিষয়ে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট করা হলে এমন যেকোনো কনটেন্ট সরানো ও আইটি নিয়মের অধীনে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে দ্রুত পদক্ষেপ নিশ্চিত করতে হবে। আর ডিপফেক ভিডিও তৈরি ও প্রচারের শাস্তি হলো, ১ লাখ রুপি জরিমানা ও তিন বছরের জেল।