জি-২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলোর শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে গেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওই শীর্ষ সম্মেলনে উপস্থিত রয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক।
নরেন্দ্র মোদির কার্যালয় থেকে এক টুইটে ছবি পোস্ট করে জানানো হয়েছে, উষি সুনাকের সঙ্গে আলাপ হয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর।
বিবিসি জানিয়েছে, তাদের বৈঠকে কী কথা হয়েছে, তা এখনো জানা যায়ন।তবে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ঋষি সুনাকের সাক্ষাতের পর আলাপ হয়েছে। এর আগে ঋষি সুনাক ক্ষমতায় আরোহণ করতেই তাকে ফোন করে এবং টুইটে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মোদি।
জি-২০ সম্মেলনে দেওয়া ভাষণে ইউক্রেনের পরিস্থিতি থেকে শুরু করে বিশ্বব্যাপী খাদ্যসঙ্কট নিয়ে কথা বলেছেন মোদি। তিনি বলেছেন, আমাদের সকলের উচিত, শান্তি-শৃঙ্খলা এবং নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগুলো যত দ্রুত সম্ভব কার্যকর করা। ইউক্রেনের যা পরিস্থিতি, তাতে আমাদের সকলের উচিত ছিল সেখানে যুদ্ধবিরতি এবং শান্তি স্থাপন নিয়ে নিয়ে কোনো সমাধানের পথ বের করা।
মোদি আরো বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সারাবিশ্ব সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছিল। তখন রাষ্ট্রনেতাদের সম্মিলিত প্রয়াসে শান্তি বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে। এখন এই দায়িত্ব আমাদের ওপর বর্তেছে।
শীর্ষ সম্মেলন চলাকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর সঙ্গে পার্শ্ববৈঠকে বসেছেন মোদি। সেখানে খাদ্যসঙ্কট এবং নবায়নযোগ্য শক্তি নিয়ে আলোচনা করেছেন তিনি।
মোদি বলেন, করোনাভাইরাস মহামারি চলাকালীন বিশ্বজুড়ে খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছিল। এর প্রভাব বেশি পড়েছে গরিব মানুষের ওপর। জলবায়ু পরিবর্তনও বিশ্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। ২০৩০ সালে বিশ্বের অর্ধেক পরিমাণ বিদ্যুৎ সরবরাহ নবায়নযোগ্য শক্তির ওপর নির্ভরশীল হবে। এই শক্তি সরবরাহকে অবাধ করার ব্যপারে আমরা সচেতন থাকব।
তিনি আরো বলেন, পরের বছর গান্ধী এবং বুদ্ধের পবিত্র ভূমিতে অর্থাৎ ভারতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করা হবে। সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে বিশ্বজুড়ে শান্তি-শৃঙ্খলা নিয়ে আলোচনা করা হবে।
প্রসঙ্গত, আগামীতে জি-২০ সম্মেলন হওয়ার কথা ভারতে।