পরনে জিন্স টপ ,হাতে দামি ফোন, চুলে নতুন নতুন স্টাইল, বেশভূষা দেখে মনেই হবে না এই সুন্দরী রমণীরা এমন কাজ করতে পারেন। তবে চিড়িয়াখানায় এইরূপ একজন সুন্দরী নারী নয়, বহু ঘুরে বেড়াচ্ছেন এবং পকেটমারি করছেন নিয়মিত। শীত আসলে অনেক বাঙালির ঘুরতে যাওয়ার ডেস্টিনেশন হয়ে ওঠে কলকাতার আলিপুরের চিড়িয়াখানা।
১৫ই ডিসেম্বর থেকে চিড়িয়াখানায় মোতায়েন করা হয়েছিল কড়া পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কারণ এই কয়েকদিনে বেশ কয়েকজন ব্যক্তির রীতিমতো পকেট ফাঁকা হয়েছে। মানুষ অবসর সময় বের করে একটু চিড়িয়াখানায় আসেন মনের আনন্দ খুঁজে নেবেন বলে। সেখানে যদি এই বিপত্তি ঘটে তাহলে মন খারাপ হতে বাধ্য। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ এই নিয়ে একের পর এক নালিশ শুনে যাচ্ছেন।
কিছুদিন আগেই এমন একজন পকেটমার ধরা পড়েছিলেন, তাকে দেখলেই মনেই হবে না তিনি পকেটমার। জিন্স টপ পরনে, হাতে দামি ফোন এবং কোলে ছোট বাচ্চা। আর সেই বাচ্চার ডায়াপার থেকেই মিলল টাকার ব্যাগ এবং দামি দামি ফোন। রীতিমত তাজ্জব হয়ে গেছেন কর্তৃপক্ষ। আগে যারা এহেন কাজ করতেন তাদেরকে একটু হলেও বোঝা যেত কিন্তু ইদানিং তা যেন একেবারে ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গেছে।
এই শীতে তাই রীতিমতো মাইকিং করে পর্যটকদের সচেতন করা হচ্ছে। যদি কোনো সুন্দরী রমণীকে বাচ্চা কোলে দেখতে পান তাহলে যেন একটু পর্যটকরা সচেতন হোন। ভিড়ের মধ্যে কোলে ছোট্ট বাচ্চা নিয়ে সুন্দরী নারী একের পর এক পর্যটকদের পকেট কেটে যাচ্ছেন। যাকে বলে চুরি বিদ্যার নিনজা টেকনিক।