পাকিস্তানের উচ্চ শিক্ষা কমিশন এখন চা আমদানিতে ব্যয় কমানোর জন্য একটি অভিনব উপায়ের পরামর্শ দিয়েছে। দ্য নিউজ জানিয়েছে, শিক্ষা সংস্থা উপাচার্যদের চা ছেড়ে স্থানীয় পানীয় যেমন লস্যি, গমের ছাতু খাওয়ার বিষয়ে প্রচার চালাতে বলেছে।
উচ্চ শিক্ষা কমিশন বা এইচইসি বলেছে যে এই পদক্ষেপটি কেবল কর্মসংস্থানই বাড়াবে না, দেশের চলমান অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে জনসাধারণের জন্য আয়ও তৈরি করবে।
উচ্চ শিক্ষা কমিশনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সংকটের কথা উল্লেখ করেছেন এবং একটি কমিটি গড়ে নিম্ন আয়ের গোষ্ঠীগুলিকে ত্রাণ দেয়ার জন্য উদ্ভাবনী উপায়গুলির কথা ভাবতে বলেছেন।
প্রস্তাবিত পদক্ষেপগুলির মধ্যে একটি হলো নিজ এলাকায় চা গাছ লাগানো এবং স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত এবং স্বাস্থ্যকর পানীয় যেমন ‘লস্যি’ এবং ‘ছাতুর ‘ওপর জোর দেয়া।
কমিশন বলেছে যে এই পদক্ষেপগুলি আয় বাড়াবে এবং কর্মসংস্থান তৈরি করবে। পাকিস্তানের পরিকল্পনা মন্ত্রী তার দেশের জনগণকে চা খাওয়া কমানোর জন্য অনুরোধ করেছেন।
কারণ দিনকয়েক আগেই দেশটিকে চা আমদানি করতে অর্থ ধার করতে হয়েছিল। ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে মন্ত্রী বলেছেন, ‘আমি জনগণের কাছে চা পানের অভ্যাস ১-২ কাপ কমানোর জন্য আবেদন করছি কারণ আমরা ঋণে চা আমদানি করি।’ সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তান চরম অর্থনৈতিক সংকটের সম্মুখীন।
শুক্রবার দেশের স্টক এক্সচেঞ্জ তার বেঞ্চমার্ক সূচক ২,০০০ পয়েন্টের বেশি কমে যাওয়ার পরে লেনদেন বন্ধ করে দিয়েছে।