ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার পুনর্গঠনে আরব নেতৃত্বাধীন পরিকল্পনাকে সমর্থন জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান কাজা কালাস। সোমবার (১৭ মার্চ) ব্রাসেলসে ইইউ পররাষ্ট্র বিষয়ক কাউন্সিলের সভার ফাঁকে তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলটির পুনরুদ্ধারে সহায়তার জন্য ইউরপের প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দেন।
কালাস বলেন, ‘আমরা আরব পুনর্গঠন পরিকল্পনা, গাজা পুনর্গঠন পরিকল্পনাকে স্বাগত জানাই। যতটা সম্ভব সাহায্য করার চেষ্টা করব।’
তিনি অঞ্চলটির স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন এবং উল্লেখ করেন, ‘প্রয়োজনে সহায়তা প্রদানের জন্য ইইউ প্রস্তুত রয়েছে।’
গাজার মানবিক সংকট নিয়ে উদ্বেগ বৃদ্ধির সময়ে ইউরোপীয় কূটনীতিকের মন্তব্য এলো। চলমান সংঘাতের ফলে সৃষ্ট ধ্বংসযজ্ঞে গাজায় হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত এবং অবকাঠামো ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। ফলে অঞ্চলটির জরুরি পুনর্নির্মাণ প্রয়োজন।
আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরবদের পুনর্গঠন পরিকল্পনার বিস্তারিত বিবরণ এখনো সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ করা হয়নি। তবে কাজা কালাসের মতো ইইউ নেতাদের এই পরিকল্পনা গ্রহণ গাজার পুনরুদ্ধারে অবদান রাখার বৃহত্তর আগ্রহের ইঙ্গিত।
গাজা পুনর্গঠন প্রচেষ্টার বাইরেও তিনিইউক্রেন এবং সিরিয়ার সংঘাতসহ বৃহত্তর ভূ-রাজনৈতিক উদ্বেগের সমাধানের ওপর জোর দেন। তিনি জেদ্দায় ইউক্রেন প্রসঙ্গে সাম্প্রতিক শান্তি আলোচনাকে স্বাগত জানিয়েছেন। কিন্তু জোর দিয়ে বলেছেন, ‘বল রাশিয়ার হাতে। তারা যুদ্ধ থেকে অর্জন করতে চাওয়া তাদের সমস্ত চূড়ান্ত লক্ষ্যকে শর্ত হিসেবে উপস্থাপন করছে।’
সিরিয়া সম্পর্কে কালাস ক্রমবর্ধমান সহিংসতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে সতর্ক করেন যে, ‘সিরিয়ায় আশার বাতি ঝুলে আছে।’ তিনি স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে আঞ্চলিক অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করার গুরুত্বের ওপর জোর দেন এবং অতীতের নৃশংসতা মোকাবেলায় জবাবদিহিতার প্রয়োজনীয়তার কথা জানান।
তিনি চলমান সিরিয়া সম্মেলনকে এই অঞ্চলে দীর্ঘমেয়াদী শান্তি ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনার একটি সুযোগ হিসেবেও তুলে ধরেন।
ইউরোপের ওপর মার্কিন শুল্ক আরোপের বিষয়ে ক্যালাস উল্লেখ করেন, ইইউ বাণিজ্য যুদ্ধ চায় না, তবে প্রয়োজনে তারা তাদের স্বার্থ রক্ষা করতে প্রস্তুত।