অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় ২৪ ঘণ্টায় দুই শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। গত ৭ অক্টোবর থেকে চলা সংঘাতে এখন পর্যন্ত ২০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশই নারী এবং শিশু।
এদিকে ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, গাজার অভিযানে এখন পর্যন্ত ১৫২ জন সৈন্য নিহত হয়েছে। গাজা সিটি এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরে তীব্র লড়াই চলছে। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।
এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। হামাসকে নির্মূলের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তবে হামাসকে নির্মূলের অজুহাতে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। প্রায় প্রতিদিনই ইসরায়েলের বোমা হামলায় প্রাণ হারাচ্ছে শত শত ফিলিস্তিনি নারী, পুরুষ ও শিশুরা।
গাজা সিটি এবং খান ইউনিসে হামাসের শক্ত ঘাঁটি রয়েছে এমন দাবি করে সেখানে হামলা আরও জোরদার করেছে ইসরায়েল। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গাজায় এখন পর্যন্ত ২০ হাজার ২৫৮ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ৫৩ হাজার ৬৮৮ জন। অপরদিকে পশ্চিম তীরে নিহত হয়েছে ৩০৩ জন এবং আহত হয়েছে আরও ৩ হাজার ৪৫০ জন।
এদিকে গাজা সরকারের মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ১০১ জন সাংবাদিক প্রাণ হারিয়েছেন। একই সময়ে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অর্ধ-শতাধিক মিডিয়া অফিস পুরোপুরি বা আংশিক ধ্বংস হয়েছে। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, তাদের অ্যারাবিক ক্যামেরাম্যান সামের আবুদাকাও হামলায় নিহত হয়েছেন।
অপরদিকে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় জাতিসংঘের এক কর্মীসহ তার পরিবারের ৭০ জনের বেশি সদস্য নিহত হয়েছে। গাজা সিটির কাছে জাতিসংঘের কর্মী ইসাম আল-মুঘরাবি (৫৬), তার স্ত্রী, পাঁচ সন্তানসহ তাদের আরও বেশ কয়েকজন স্বজন ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলায় নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।