আগামী ২৪ আগস্ট স্বাধীনতার ৩০ বছর উদযাপন করবে ইউক্রেন। সেই উপলক্ষে ওইদিন সামরিক কুচকাওয়াজ আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। আর তাতে নারী সেনাদের সামরিক বুটের পরিবর্তে হাই হিল জুতা পরিধান করিয়ে কুচকাওয়াজে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। যা নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক সমালোচনা।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কিছু ছবি প্রকাশ করেছে। সেগুলোতে দেখা যায়, হাই হিল জুতা পরিধান করে কুচকাওয়াজের প্রস্তুতি নিচ্ছে নারী সেনারা।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট আর্মিয়াআইনফর্মে ক্যাডেট ইভান্না মেডভিড বলেন, আজ (বৃহস্পতিবার) প্রথমবারের মতো হিল জুতোতে প্রশিক্ষণ নেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনীর বুটের তুলনায় এটা কিছুটা কঠিন। তবুও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।
এদিকে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করছেন পার্লামেন্টের আইনপ্রণেতা ও নাগরিকরা। বিরোধী দলীয় সদস্য ইরিনা জেরাশচেনকো বলেন, এটা সমতা নয়, যৌনতা।
আইনপ্রণেতাদের একটি গ্রুপ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী অ্যান্দ্রি তারানকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
ইউক্রেনের রাজনৈতিক বিশ্লেষক ভিটালি পোর্টনিকোভ ফেসবুকে লিখেছেন, কিছু কর্মকর্তার ‘মধ্যযুগীয় মানসিকতা’ এখনো রয়ে গেছে। হিলের মধ্যে কুচকাওয়াজ, এটা অপমানজনক।
দেশটির সেনাবাহিনীর সিনিয়র সদস্য মারিয়া বার্লিনস্কায়া বলেন, কুচকাওয়াজে সামরিক ক্ষমতা প্রদর্শন করার নিয়ম। কিন্তু তা না করে গ্যালারিতে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সুরসরি দেওয়ার জন্যই হিল পরানোর সিদ্ধান্ত।