সম্প্রতি ইউক্রেনকে ‘বিতর্কিত’ ক্লাস্টার বোমা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। পশ্চিমা অনেক দেশের উদ্বেগ থাকা সত্ত্বেও এই বোমা দেওয়া হয়। মার্কিন এক জ্যেষ্ঠ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকরভাবে এই বোমা ব্যবহার করছে ইউক্রেন।
হোয়াইট হাউজেরর জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কিরবি বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বলেন, আমরা ইউক্রেনীয়দের কাছ থেকে কিছু প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া পেয়েছি ও তারা সেগুলো বেশ কার্যকরভাবে ব্যবহার করছে।
কিরবি বলেন, অস্ত্রগুলো তারা যথাযথ ও কার্যকরভাবে ব্যবহার করছে। এ বিষয়ে ইউক্রেন থেকে আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে বলেও জানান তিনি।
কিরবি আরও বলেন, মার্কিন ক্লাস্টার বোমাগুলো রাশিয়ার প্রতিরক্ষামূলক গঠন ও সেনাদের কৌশলের ওপর প্রভাব ফেলছে।
একটি সূত্রের বরাত দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, কিয়েভের বাহিনী সুরক্ষিত রুশ অবস্থানের বিরুদ্ধে ক্লাস্টার অস্ত্র ব্যবহার করছে।
এর আগে শুক্রবার (৭ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা ইউক্রেনকে ক্লাস্টার বা গুচ্ছবোমা দেবে। তবে অন্য দেশের ভূখণ্ডে এ বোমা ব্যবহার করতে পারবে না কিয়েভ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ইউক্রেনকে ক্লাস্টার বোমা দেওয়া খুবই কঠিন একটি সিদ্ধান্ত। এ বিষয়ে তিনি মিত্রদেশগুলোর সঙ্গে কথা বলেছেন।
এর প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাজ্য, কানাডা ও স্পেন জানিয়েছে, ইউক্রেনকে ক্লাস্টার বোমা দেওয়ার পক্ষে নয় তারা। মার্কিন প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও।
শনিবার (৮ জুলাই) যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেন, ক্লাস্টার বোমার উৎপাদন, মজুত ও ব্যবহার বন্ধে ১২৩টি দেশ একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি সই করেছে। এসব দেশের তালিকায় যুক্তরাজ্যও রয়েছে। যুক্তরাজ্য এ অস্ত্রের ব্যবহার উৎসাহিত করতে পারে না।