একজন জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক দ্বারা যৌন হেনস্তার শিকার আলিবাবা গ্রুপ হোল্ডিং লিমিটেডের এক নারী কর্মীকে গত মাসে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। স্থানীয় একটি দৈনিক এ সংবাদ প্রকাশ করে।
‘মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ’ তুলে গত মাসে আলিবাবা তাঁকে (তাঁর আসল নাম প্রকাশ করা হয়নি, তবে উপাধি ঝৌ) চাকরিচ্যুত করে। আলিবাবার দাবি, ‘একজন জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক (সিনিয়র ম্যানেজার) আমাকে ধর্ষণ করেছে’- এমন মিথ্যা অভিযোগ করেন ওই নারী। আর এমন মিথ্যা অভিযোগ করার প্রেক্ষিতেই আলিবাবা তাঁকে চাকরিচ্যুত করে। এমনকি তাঁকে কোনো ‘সেভারেন্স পে’ দেওয়া হয়নি। তবে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত তাকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়।
তবে, আলিবাবার কোনো মুখপাত্র এ বিষয়ে কোনো কল বা ই-মেইলের জবাব দেননি।
আগস্টের গোড়ার দিকে ঝৌ একটি ৮০০০ শব্দের লেখা প্রকাশ করেন। যেটি তার ম্যানেজার এবং একজন ক্লায়েন্টকে উদ্দেশ করে লেখা। সেখানে অভিযোগ করা হয়, তাঁরা একটি ওয়ার্ক ট্রিপে তাঁকে যৌন নিপীড়ন করে। তিনি বলেন, জুলাইয়ের ঘটনাটি শানডং প্রদেশের জিনান শহরে ডিনারের পরে ঘটে, সেখানে প্রচুর অ্যালকোহল পান করা হয়।
এ ঘটনার অভিযুক্ত আলিবাবার ম্যানেজার ওয়াংকে (উপাধি) বরখাস্ত করা হয়। ই-কমার্স জায়ান্টের দুই জ্যেষ্ঠ নির্বাহী পদত্যাগ করেন এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড্যানিয়েল ঝাং কম্পানির এই ঘটনাটিকে ‘অপমানজনক’ বলে অভিহিত করেন।
সাহায্যের জন্য আলিবাবা কর্মীরা #মি_টু শুরু করে।
অভিযোগ ফাঁস করার জন্য আলিবাবা ১০ জন কর্মীকেও বরখাস্ত করে। সংস্থাটি বলছে, ওই ১০ কর্মী কর্মচারী ফোরামে ঘটা বিষয়বস্তু প্রকাশের বিরুদ্ধে অত্যন্ত কঠোর নীতি লঙ্ঘন করেছে।
সেপ্টেম্বরে জিনানের প্রসিকিউটররা ওয়াংয়ের বিরুদ্ধে মামলা লড়েননি। চীনের প্রযুক্তিশিল্পকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এমন মামলায় তাকে ফৌজদারি অভিযোগের মুখোমুখি করা হয়নি। তারা বলছে, ওয়াংয়ের আচরণ একটি ফৌজদারি অপরাধ নয়, তাকে কেবলমাত্র ‘জোরপূর্বক অশ্লীলতা’ বিভাগের অধীনে রাখা হয়েছিল। যার সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল ১৫ দিনের আটক।
ঝৌ-এর দাবি, তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, তিনি নারীদের কাছ থেকে অনেক বার্তা পেয়েছেন- যে তাঁরাও কর্মক্ষেত্রে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন এবং মদ্যপান করতে বাধ্য হয়েছেন। তবে বেশির ভাগই লোকলজ্জার ভয়ে চুপ ছিলেন।