ঘটনাটি ভারতের। দেশটির ওড়িশার সাবেক বিধায়ক নিজের পুত্রবধূকে অন্যত্র বিয়ে দিয়েছেন।
জানা গেছে, প্রায় দেড় বছর আগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মৃত্যু হয় বিধায়ক নবীন নন্দের ছেলে সম্বিত নন্দের। তাই পুত্রবধূর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে পুত্রবধূ মধুস্মিতাকে অন্যত্র বিয়ে দেন তিনি।
গত ২৪ জানুয়ারি ভুবনেশ্বরের নয়াপল্লি এলাকার লক্ষ্মী মন্দিরে বালাসোর জেলার রেমুনার শিব চন্দনের সঙ্গে হিন্দু রীতি অনুযায়ী মধুস্মিতার বিয়ে দেন প্রাক্তন ওই বিধায়ক।
২০২১ সালের মে মাসে কোভিডে আক্রান্ত হন সম্বিত। এরপর তার ফুসফুসে সংক্রমণ দেখা দেয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩৮ বছর বয়সে তার মৃত্যু হয়। এরপরই বিধবা পুত্রবধূর বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন প্রাক্তন ওই বিধায়ক।
সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুষ্ঠান সম্পর্কে একটি আবেগপূর্ণ পোস্ট করে প্রাক্তন বিধায়ক লেখেন, “এটি আমার জন্য একটি স্মরণীয় দিন। আমি জানি না আমি ঠিক করছি না কি ভুল করছি। যাই হোক, আমি আমার পুত্রবধূকে হিন্দু আচার-অনুষ্ঠান মেনে বিয়ে দিয়েছি। তার বাবা এতে সম্মতি দিয়েছেন। ঈশ্বর তাদের আশীর্বাদ করুন।”
এই পদক্ষেপের জন্য প্রাক্তন বিধায়কের প্রশংসা করে সমাজকর্মী ঋতুপূর্ণা মোহান্তি বলেন, “জনপ্রতিনিধি হিসেবে নন্দ দৃষ্টান্তমূলক এবং সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি সবার জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন।”
উল্লেখ্য, মধুস্মিতার পরিবারের সম্মতি পেয়ে বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। প্রাক্তন বিধায়ক তার ছেলে সম্বিতের মৃত্যুর পর তাকে সব রকম সমর্থন করে যাচ্ছিলেন। বিয়ের অনুষ্ঠানে উভয় পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এই বিয়েতে খুশি উভয় পক্ষ। প্রাক্তন বিধায়কের পাশাপাশি কনে মধুস্মিতাও এই খুশি।