English

24 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৫
- Advertisement -

কঙ্গোর কারাগারে কয়েক শ নারীকে ধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যা

- Advertisements -

কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলীয় শহর গোমায় রুয়ান্ডা-সমর্থিত এম ২৩ বিদ্রোহীদের হামলার সময় শত শত নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছে এবং আগুনে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। গত সপ্তাহে তাদের ওপর এই নির্যাতন করা হয় বলে বুধবার জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান।

জাতিসংঘের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাতে সংবাদমাধ্যমটি বলছে, বিদ্রোহীদের হামলার সময় গোমার মুঞ্জেনজে কারাগারে বন্দি নারীদের ওপর নারকীয় অত্যাচার চালানো হয়। তখন কারাগারে থাকা হাজার হাজার পুরুষ বন্দি পালিয়ে যায়।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীর উপপ্রধান ভিভিয়ান ভ্যান ডি পেরে জানিয়েছেন, ঘটনার সময় কারাগার থেকে প্রায় চার হাজার পুরুষ বন্দি পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও, নারীদের অংশটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। তিনি বলেন, ‘কারাগারে থাকা শত শত নারীকে ধর্ষণ করা হয়, এরপর তাদের কক্ষগুলোতে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে মারা হয়।’

রুয়ান্ডা-সমর্থিত এম ২৩ বিদ্রোহীরা গত ২৭ জানুয়ারি গোমার কেন্দ্রস্থলে পৌঁছানোর পরপরই সেখানে কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠতে দেখা যায়। তবে কারাগারে কী ঘটেছে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানা সম্ভব হয়নি। কারণ জাতিসংঘের তদন্তকারী দলকে সেখানে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না এম ২৩ বিদ্রোহীরা। ফলে এই নৃশংসতার মূল পরিকল্পনাকারীদের সঠিক পরিচয়ও এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

জানা গেছে, গোমায় প্রায় দুই হাজার মৃতদেহ এখনো সমাহিত করার অপেক্ষায় রয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর সতর্ক করেছে, গোমায় বিদ্রোহী দলগুলো সংঘাতের অস্ত্র হিসেবে যৌন সহিংসতা চালাচ্ছে। গোমার পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর যে, ১০ লাখের বেশি মানুষের শহরটি এখন পুরোপুরি এম ২৩ বাহিনীর দখলে রয়েছে। তবে গেল সোমবার হঠাৎ করেই বিদ্রোহীরা একতরফা যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয়।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন