যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ট্রেড কমিশনের (এফটিসি) চেয়ারম্যান হিসেবে মঙ্গলবার শপথ নিয়েছেন ৩২ বছরের যুবতী লিনা খান। তার এই পদটি খুবই শক্তিধর। ব্যবসায় অনিয়ম চর্চা থেকে ভোক্তাদের সুরক্ষা দেয় এফটিসি। একই সঙ্গে কোম্পানিগুলোর মধ্যে অন্যায় প্রতিযোগিতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। প্রযুক্তি বিষয়ক জায়ান্টদের জন্য উদ্বেগের বিষয় হলো মিস খান তাদের সবচেয়ে বেশি সমালোচক। এ খবর দিয়ে অনলাইন বিবিসি বলছে, লিনা খানের জন্ম বৃটেনে। তিনি শৈশবেই যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। জানুয়ারিতে তিনি বিবিসি হার্ডটক অনুষ্ঠানে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, কিভাবে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করে একজন পলিসি গবেষক হিসেবে প্রতিযোগিতামূলক আইনের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন।
তিনি বলেন, আমার কাছে পরিষ্কার হয়ে গেল যে, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে একটি সিস্টেমেটিক ট্রেন্ড কাজ করছে। এখানে বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে খুবই অল্প সংখ্যক কিছু কোম্পানি। আস্তে আস্তে তার দৃষ্টি ফিরতে থাকে সিলিকন ভ্যালিতে প্রতিযোগিতার বিষয়ে। তার বড় সমালোচনা হলো- বিগ টেক এমনিতেই একটি বড় প্রতিষ্ঠান। তারা প্রতিযোগিতার বাজারে প্রচুর খরচ করে।
মিস লিনা খানকে তার কিছু ডেমোক্রেট সহকর্মী পরামর্শ দিয়েছেন ফেসবুক এবং গুগলের আওতায় অন্য যেসব প্রতিষ্ঠান আছে সেগুলোকে আলাদা করে দিতে। উদাহরণ হিসেবে ইন্সটাগ্রাম থেকে ফেসবুককে আলাদা করে দেয়া যেতে পারে। গুগল থেকে আলাদা করে দেয়া যেতে পারে ইউটিউব’কে।
মিস লিনা খানের মতো সমালোচকরা বলেন যে, প্রতিযোগিতার চ্যালেঞ্জে বর্তমান আইনগুলো উপযুক্ত নয়। তার মতে, এসব প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে ডিজিটাল যুগের অবকাঠামোতে। নির্বাহীদের একটি ক্ষুদ্র গ্রুপ নিয়ম করে দিচ্ছে, কে এসব অবকাঠামো ব্যবহার করতে পারবে এবং তাতে শর্ত কি।