ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজাতে ইসরায়েলের হামলা ও যুদ্ধের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে পড়েছে কলম্বিয়া ও ইয়েলসহ যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও ছড়িয়ে পড়েছে এই বিক্ষোভ, যা থামাতে হিমশিম খাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। চলমান বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে গণগ্রেপ্তার শুরু করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।
বিভিন্ন ক্যাম্পাসে বিক্ষোভকারীরা তাঁবু খাটিয়ে অবস্থান নিয়েছে। নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি, বার্কলে, এমআইটি, টাফটস ইউনিভার্সিটি, ইমারসনসহ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফিলিস্তিনপন্থি ও ইসরায়েলপন্থি শিক্ষার্থীরা একে অন্যের বিরুদ্ধে ইহুদিবিদ্বেষ ও ইসলামভীতি বাড়ানোর অভিযোগ জানিয়ে আসছে। গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা চালানোর পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রধান আলোচনা ও বিতর্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধ ও বাকস্বাধীনতা। এরপর ইসরায়েল গাজায় হামলা চালানো শুরু করলে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো উভয় পক্ষের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ-প্রতিবাদের মূল কেন্দ্র হয়ে ওঠে।
গত সপ্তাহে নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে একশোর বেশি বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করার পর ক্যাম্পাসগুলোতে চলমান আন্দোলন বিশ্বের মনোযোগ আকর্ষণ করে। গ্রেপ্তারকৃত এসব শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, নিজেদের ক্যাম্পাস থেকে শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকশ শিক্ষক সোমবার গণ ওয়াকআউট করেছেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত ক্লাস ভার্চুয়ালি পরিচালিত হবে বলে সোমবার ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে, অনেক মার্কিন রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্যাম্পাসের ইহুদিভিত্তিক সংগঠনসহ বিভিন্ন মাধ্যম চলমান এই বিক্ষোভকে ইহুদি-বিরোধী আন্দোলন হিসেবে দাবি করছে।
সোমবার (২২ এপ্রিল) নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়া ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভকারী প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।