ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান টেসলার ছয় জন নারী কর্মী অভিযোগ করেছেন, তারা যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। গত এক মাসে পর পর ছয় জন নারী যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করলেন ইলেকট্রিক গাড়ি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের পুরুষ কর্মীদের বিরুদ্ধে।
ওই ছয় নারী কর্মীর অভিযোগ, কাজে যোগ দেওযার পর থেকেই তাদের নানাভাবে উত্যক্ত করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় পাঠানো হয়েছে কুপ্রস্তাব। অফিসের পার্কিং লট এবং শৌচাগারেও যৌনতায় লিপ্ত হন কর্মীরা।
অভিযোগ দায়ের করা ছয় নারীর দাবি, পুরুষ কর্মীরা প্রায় সময়ই তাদের শরীর এবং পোশাক নিয়ে কথা বলে। এ ধরনের আচরণে বহু নারী কর্মী কাজ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
গত মঙ্গলবার পর্যন্ত মোট ৬টি মামলা দায়ের হয়েছে। সেই অভিযোগগুলোর মূল বক্তব্য হলো- ক্যালিফোর্নিয়ায় টেসলার বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির কারখানাসহ একাধিক অফিসে বারবার যৌন নির্যাতনের মুখে পড়তে হয় নারীদের। যৌন হয়রানি, সোশ্যাল মিডিয়ায় লাগাতার ভিডিও কল, কুরুচিকর মেসেজ করে পুরুষ সহকর্মীরা। প্রতিবাদ করলেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের রোষানলে পড়তে হয় নারীদের।
টেসলায় বহু নারী কর্মরত আছেন। অভিযোগকারী নারীদের দাবি, পুরুষ সহকর্মীদের এ ধরনের আচরণকে সমর্থন করেন নারীরাও। চাকরিতে পদোন্নতির জন্য সহকর্মীদের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্কে জড়ান কিছু নারী। যদিও এ প্রসঙ্গে টেসলার পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
পড়াশোনা শেষ করে টেসলায় যোগ দিয়েছিলেন মিচালা কুরেন। টেসলায় যোগ দেওয়ার সপ্তাহ খানেকের মধ্যে যৌন হয়রানির মুখে পড়তে হয়েছিল তাকে।
লিখিত অভিযোগে মিচালা জানিয়েছেন, টেসলায় পুরুষ কর্মীরা তার শারীরিক গঠন নিয়ে বাজে মন্তব্য করেছেন। রাতেও সহকর্মীরা ভিডিওকল দেয় এবং বার্তা পাঠায়। টানা দুই মাস ধরে এই অত্যাচার সহ্য করেছেন মিচালা। পরে টেসলার পুরুষ কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করলেন।
একই ধরনের অভিযোগ করেছেন আরও পাঁচ নারী। মোট ছয়টি অভিযোগের মধ্যে পাঁচটি জমা পড়েছে টেসলার ফ্রিমন্ট ফ্যাক্টরি থেকে। আরেক জন ক্যালিফোর্নিয়ার সার্ভিস সেন্টারে কর্মরত নারী অভিযোগ করেছেন। সবমিলিয়ে লাগাতার যৌন হেনস্তার অভিযোগে আলোচনায় এসেছে ইলন মাস্কের টেসলা।
সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট।