সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে অকেজো হয়ে পড়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম প্রশাসনিক রোবট । স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এটিকে দেশের প্রথম রোবট ‘আত্মহত্যা’ বলে আখ্যায়িত করেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার গুমি সিটি কাউন্সিলে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল ওই রোবটটিকে।
২০২৩ সালের আগস্টে দক্ষিণ কোরিয়ার গুমি শহরে প্রথমাবের মতো প্রশাসনিক দায়িত্বে রোবটটি নিয়োগ করা হয়েছিল। রোবটটি সকাল ৯ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত কাজ করত এবং এর নিজস্ব সিভিল সার্ভিস অফিসার কার্ড ছিল।
রোবট ওয়েটারদের জন্য পরিচিত ক্যালিফোর্নিয়া-ভিত্তিক রোবোটিক্স স্টার্টআপ বিয়ার রোবোটিক্স এটি তৈরি করেছিল।
এক তলায় সীমাবদ্ধ বেশিরভাগ রোবটের বিপরীতে, গুমি সিটি কাউন্সিলের রোবট লিফট ব্যবহার করতে পারত এবং স্বাধীনভাবে মেঝেতে চলাচল করতে পারত।
দক্ষিণ কোরিয়ার গুমি সিটি কাউন্সিল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছে, তাদের রোবট অফিসারটি গত সপ্তাহে দুই মিটার উঁচু সিঁড়ি থেকে নিচে পড়ার পর অকেজো অবস্থায় পাওয়া গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা দুর্ঘটনার আগে রোবটটিকে একই জায়গাকে কেন্দ্র করে ঘুরতে দেখেছেন। তবে রোবটটির পড়ে যাওয়ার সঠিক কারণ নিয়ে এখনও তদন্ত চলছে বলে সিটি কাউন্সিলের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
ওই কর্মকর্তা বলেন, “রোবটটির ভেঙে যাওয়া টুকরো সংগ্রহ করা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট কোম্পানি সেটি বিশ্লেষণ করবে।”
রোবটটি দৈনিক নথি সরবরাহ, শহরে প্রচারণার কাজ করা এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের তথ্য প্রদানের সাথে জড়িত ছিল বলে তিনি জানিয়েছেন।
অন্য একজন কর্মকর্তা বলেন, “রোবটটি আমাদের মতোই সিটি হলের অংশ হিসেবে বিবেচিত হত। এটি অধ্যবসায়ের সাথে কাজ করেছে।”
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম রোবটের সম্ভাব্য ‘আত্মহত্যা’নিয়ে প্রশ্ন তুলে জানতে চেয়েছে, ‘কেন অধ্যবসায়ী সিভিল অফিসার এমন পদক্ষেপ নিয়েছে বা এর কাজের চাপ খুব বেশি ছিল কিনা?’
ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রোবোটিক্স এর তথ্য অনুসারে, দক্ষিণ কোরিয়া রোবট ব্যবহারে বিশ্বব্যাপী এগিয়ে রয়েছে। প্রতি ১০ জন কর্মচারীর জন্য একটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল (শিল্প) রোবট রয়েছে দেশটিতে।
বর্তমানে গুমি সিটি কাউন্সিলের দ্বিতীয় রোবট অফিসার চালু করার কোনও পরিকল্পনা নেই বলে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে।