সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, সভা-সেমিনার, ওয়ার্কশপ প্রভৃতি আয়োজন আমাদের জ্ঞানের ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করে, অনেক অজানা তথ্যের সন্ধান দেয়। তেমনি বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও গুণিজনদের দিয়ে জাতীয় জাদুঘর আয়োজিত সেমিনারের মাধ্যমে আমরা তাঁদের জীবনের অনেক অজানা দিক সম্পর্কে জানতে পেরেছি, আলোকিত হয়েছি। জ্ঞান চর্চা আমাদের নতুন জ্ঞানের দ্বার উন্মোচন করে। জ্ঞানার্জনের কোন বয়স ও সীমা নেই। বেগম রোকেয়া নিয়ে আয়োজিত সেমিনারের মাধ্যমে তাঁর জীবনের নানা অজানা দিক ও রহস্য সবার সামনে উন্মোচিত হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ বিকালে রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এর কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে বাঙালি মুসলিম নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন স্মরণে ‘বেগম রোকেয়া দিবস-২০২০’ উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর আয়োজিত ‘রোকেয়া মানস’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি বলেন, সেমিনারটির মাধ্যমে বেগম রোকেয়া সম্পর্কে বহুল প্রচলিত কিছু বিভ্রান্তির নিরসন ঘটেছে।আমরা জানতাম যে বেগম রোকেয়ার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পেছনে রয়েছে তাঁর স্বামী সাখাওয়াত হোসেনের বড় অবদান ছিল। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সেটি সত্য নয়। বরং তার সুশিক্ষিত ও স্বশিক্ষিত হওয়ার পেছনে রয়েছে তাঁর বড় ভাইবোনদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান। তাছাড়া তিনি ছিলেন তাঁর স্বামীর দ্বিতীয় স্ত্রী।
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এর সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. বদরুল আরেফীন।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট গবেষক ও প্রাবন্ধিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. বেগম আকতার কামাল। সম্মানিত আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও রোকেয়া হলের সাবেক প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. নাজমা শাহীন। সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এর মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান এনডিসি।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন