দেশের অন্যতম নারী আলোকচিত্রী মম মোস্তফার ”মেলোডিস অব মম” শিরোনামে ৩দিন ব্যাপী একক আলোকচিত্র প্রদর্শনী শুক্রবার (২৪ মে) থেকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা গ্যালারী-২ এ শুরু হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত প্রদর্শনীটি চলবে রবিবার (২৬ মে) পর্যন্ত।
সকল শ্রেণীর দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত এই প্রদর্শনীটি শুক্রবার (২৪ মে) বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের মাননীয় হুইপ অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম এমপি এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে প্রদর্শনীতে যোগ দেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের, টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মীর রেজাউল আলম, বিপিএম (বার) সহ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, মম মোস্তফা দেশের একজন পেশাদার তরুণ আলোকচিত্রশিল্পী। ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে তার বহু আলোকচিত্র। অর্জন করেছেন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মাননা ও পুরস্কার। এবার তার আলোচিত ও বাছাইকৃত ছবিগুলো নিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে একক আলোকচিত্র প্রদর্শনী।
মম মোস্তফা এ প্রদর্শনী সম্পর্কে জানান, ”একজন আলোকচিত্রীর জীবনের বড় একটি প্রেজেন্টেশন হতে পারে তার একক আলোকচিত্র প্রদর্শনী। আলোকচিত্র নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা লাভ করে প্রায় ১৫ বছর ধরে দেশে ও দেশের বাইরে প্রচুর ছবি তুলেছি। বিভিন্ন প্রদর্শনীতে অনেক ছবি প্রদর্শিত হয়েছে। প্রতিটি ছবির সঙ্গে জড়িয়ে আছে নানা অনুভূতি, নানা গল্প। এদেশে নিজেকে একজন পেশাদার নারী আলোকচিত্রী হিসাবে প্রতিষ্ঠা করা এমনিতেই অনেক চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার, তার চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ সলো একজিবিশন। যতসম্ভব, এটাই এ দেশে কোন পেশাদার নারী আলোকচিত্রীর প্রথম একক আলোকচিত্র প্রদর্শনী। আমি আমার দায়বদ্ধতা থেকেই শিল্প অনুরাগী, ফটোগ্রাফীর শিক্ষার্থী এবং এ পেশায় আসা নবীনদের সাথে আমার ফটোগ্রাফি, চ্যালেঞ্জ ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করে নিতে চাই এভাবেই, বিশেষ করে সেইসব নারীদের জন্য- যারা এ আলোকচিত্রী হতে চায়। ”
এই প্রদর্শনী হতে বিক্রয়লব্ধ অর্থের একটি অংশ ” শিশুদের জন্য আমরা” নামে একটি অন্ধকারপল্লীতে জন্ম নেওয়া শিশুদের উন্নয়নে কাজ করছে, এমন একটি সংস্থায় সহযোগিতা হিসাবে প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন আলোকচিত্রী নিজেই। প্রদর্শনীর আয়োজন সহযোগী হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এবং বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড।