সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চল লোকজ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যে বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে সমাদৃত। জামালপুর জেলাও এর ব্যতিক্রম নয়। লোকসংগীত, লোকনাটক, জারি, সারি, ভাটিয়ালি, মুর্শিদী, মারফতি, গাজীর গান, ছড়া, প্রবাদ প্রবচন, পুঁথি, কেচ্ছা-কাহিনী সহ লোকসংস্কৃতি আমাদের অমূল্য সম্পদ। তবে আধুনিকতার সংস্পর্শে আমাদের এসব লোকজ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য হারিয়ে যেতে বসেছে। সেজন্য আধুনিকতার সঙ্গে ঐতিহ্যের সমন্বয় সাধন করতে হবে। লোকজ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ বিকালে জামালপুর জেলার মেলান্দহে জামালপুর গান্ধী আশ্রম ট্রাস্ট ও মুক্তি সংগ্রাম জাদুঘর এর যৌথ উদ্যোগে জাদুঘর প্রাঙ্গণে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী (২১-২৩ সেপ্টেম্বর) লোকসংস্কৃতি উৎসব ও লোকজ মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি বলেন, জামালপুর জেলার লোকজ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণে নিবেদিতপ্রাণ সংগঠন হিসাবে জামালপুর গান্ধী আশ্রম ট্রাস্ট ও মুক্তি সংগ্রাম জাদুঘর কাজ করে যাচ্ছে। সেজন্য তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী এসময় জামালপুর গান্ধী আশ্রম ট্রাস্ট ও মুক্তি সংগ্রাম জাদুঘর কর্তৃক আয়োজিত লোকসংস্কৃতি উৎসব ও লোকজ মেলাকে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্তিপূর্বক মন্ত্রণালয় থেকে নিয়মিত পৃষ্ঠপোষকতা প্রদানের আশ্বাস প্রদান করেন।
জামালপুর গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টের ট্রাস্টি ও লোকসংস্কৃতি উৎসব ২০২৩ এর আহবায়ক উৎপল কান্তি ধর এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন জামালপুর সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের অধ্যক্ষ হারুন অর রশীদ, জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান সানা, জামালপুর জেলা পরিষদের সচিব মুনমুন জাহান লিজা, মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সেলিম মিয়া ও মেলান্দহ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ।। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জামালপুর গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টের ট্রাস্টি, লোকসংস্কৃতি উৎসব ২০২৩ এর সদস্য-সচিব ও ঝাউগড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হিল্লোল সরকার। আরও উপস্থিত ছিলেন জামালপুর জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মোক্তার হোসেন।
প্রতিমন্ত্রী এর আগে জাদুঘর প্রাঙ্গণে লোকজ মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।