তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার -এর নেতৃত্বে ০৪ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দল মেক্সিকো সিটিতে ১৬-২১ এপ্রিল ২০২৩ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত Federation of international Film Archives (FIAF) কংগ্রেসে অংশগ্রহণ করেন।
কংগ্রেসে ৯৩টি দেশের বিভিন্ন ফিল্ম আর্কাইভ ও অডিও ভিজুয়াল প্রতিষ্ঠানের দুই শতাধিক প্রতিনিধি অংশ গ্রহণ করে।
কংগ্রেসের সাধারণ সভায় ( General Assembly) প্রদানকৃত বক্তব্যে তথ্য সচিব বলেন ” জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন পুর্ব বাংলায় চলচ্চিত্র শিল্পের বিকাশ ও দেশীয় ভাবধারার ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল ‘ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন বিল’ সংসদে উপস্থাপন করেন যার মাধ্যমে এফডিসি প্রতিষ্ঠিত হয়।
স্বাধীনতা পরবর্তীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর নির্দেশনায় জাতীয় ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণে বাংলাদেশে ফিল্ম আর্কাইভ প্রতিষ্ঠার রূপরেখা প্রণয়ন করা হয়। কিন্তু ১৯৭৫ সালের বিয়োগান্তক ঘটনা এ অগ্রগতি থমকে যায়। তারই কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত আগ্রহে আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত বিশ্বমানের বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ ভবন প্রতিষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্ম, মহান মুক্তিযুদ্ধের অনন্য দলিলপত্র, অডিও ভিজুয়াল ডকুমেন্টস এবং চলচ্চিত্র ও চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট দ্রব্যাদি সংরক্ষণে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণকে ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড’-এর স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো । যা বর্তমানে বিশ্ব প্রামান্য ঐতিহ্যের অংশ । বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ এই বিশ্ব ঐতিহ্যের দলিল সংরক্ষণকারী হিসেবে ইউনেস্কো কতৃক ওয়ার্ল্ড মেমোরি হেরিটেজ স্বীকৃতি লাভ করেছে।
তথ্য ও সম্প্রচার সচিব তার বক্তব্যে বাংগালীর হাজার বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্য, শিল্প-সংস্কৃতি ও বাংলাদেশের অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করার জন্য ফিয়াফ (FIAF) কমিউনিটির সকলকে আহবান জানান।
বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক মো. জসীম উদ্দিন, পরিচালক ফারহানা রহমানসহ সাধারণ সভায় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা অংশ গ্রহণ করেন।