লোক ও কারুশিল্পে বিশেষ অবদানের জন্য সারাদেশ থেকে মনোনীত ছয়জন বিশিষ্ট কারুশিল্পীর হাতে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন প্রবর্তিত ‘লোককারুশিল্প বিষয়ক পদক ২০২৩’ তুলে দিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি।
প্রতিমন্ত্রী আজ বিকালে রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন এর ১২৭তম বোর্ড সভা শেষে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে মনোনীত এসব লোক ও কারুশিল্পীদের হাতে পদক তুলে দেন।
তিন ক্যাটাগরিতে ছয়জন লোক ও কারুশিল্পীকে এসব পদক প্রদান করা হয়। ক্যাটাগরিসমূহ হলো- শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন আজীবন সম্মাননা পদক-২০২৩, লোক ও কারুশিল্পী পদক ২০২৩ এবং লোক ও কারুশিল্পী উদ্যোক্তা পুরস্কার ২০২৩।
‘শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন আজীবন সম্মাননা পদক-২০২৩’ পেয়েছেন মৌলভীবাজারের শীতলপাটি শিল্পী গীতেশ চন্দ্র দাস যাকে পুরস্কার হিসাবে তিন লক্ষ টাকার চেক, ২১ ক্যারেট মানের দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণপদক ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।
‘লোক ও কারুশিল্পী পদক ২০২৩’ পেয়েছেন পাটজাত কারুশিল্পে বিশেষ অবদানের জন্য রংপুরের রাশিদা বেগম, রিক্সা পেইন্টিং শিল্পে বিশেষ অবদানের জন্য ঢাকার রফিকুল ইসলাম এবং মণিপুরী তাঁতশিল্পে বিশেষ অবদানের জন্য মৌলভীবাজারের রেহেনা পারভিন। যাদের প্রত্যেককে পুরস্কার হিসাবে এক লক্ষ টাকার চেক, ২১ ক্যারেট মানের এক ভরি ওজনের স্বর্ণপদক ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।
‘লোক ও কারুশিল্পী উদ্যোক্তা পুরস্কার ২০২৩’ পেয়েছেন কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী খাদি শিল্পে বিশেষ অবদানের জন্য কুমিল্লার সানাই দাশগুপ্ত এবং নকশি কাঁথা শিল্পে বিশেষ অবদানের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জের পারভীন আক্তার। যাদের প্রত্যেককে পুরস্কার হিসাবে এক লক্ষ টাকার চেক ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।
বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক কাজী নূরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ। এসময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এমপি, বিশিষ্ট শিল্পী হাশেম খান, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাসনা জাহান খানম, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এর মহাপরিচালক মোঃ কামরুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন-সহ বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালনা বোর্ডের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।