ভোরের আলো তখনো ফোটেনি। ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিল্পকলার মুক্তমঞ্চের সামনে উপস্থিত কয়েকজন ভদ্রলোককে বসন্তবরণ উৎসব-১৪২৮ পালনের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি তদারকি করতে দেখা যায়। যারা মঞ্চ ও আশপাশে কাজ করছিলেন তাদের কাছে মঞ্চের সামনে-পেছনের ব্যাকড্রপ ঠিকঠাকভাবে সাজানো আছে কি না, সামনে ঘোষণার টেবিল ও মাইকের সাউন্ড ঠিক আছে কি না- এসব জানতে চাইছিলেন। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই মঞ্চ প্রস্তুতির সব কাজ শেষ হবে শুনে তারা আশ্বস্ত হন।
সূর্যোদয়ের পরপরই ঋতুরাজ বসন্তকে বরণ করে নিতে বাসন্তী রঙের শাড়ি ও পাঞ্জাবি পরে অসংখ্য নারী, পুরুষ ও শিশুকে মুক্তমঞ্চের দিকে এগিয়ে আসতে দেখা যায়।
আজ ভোরের দৃশ্যপট এটি। শীতকালকে বিদায় জানিয়ে শুরু হয়েছে ঋতুরাজ বসন্ত। একই সঙ্গে আজ বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষদের আয়োজনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত এ উৎসব চলে।
বেঙ্গল মিউজিকের (সমবেত বাদ্যযন্ত্র) বাসন্তী রাগ পরিবেশনের মধ্যদিয়ে দিবসের শুভ সূচনা হয়। এরপর দলীয় সংগীত পরিবেশন করে সুরসপ্তক, সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী, সুরবিহার (শিশু-কিশোর)। অনুষ্ঠানে আবৃতি করেন ভাস্বর বন্দোপাধ্যায়, আহকাম উল্লাহ ও নায়লা তারাননুম চৌধুরী কাকলি।
একক সংগীত পরিবেশন করেন শামা রহমান, মহাদেব ঘোষ, অনিমা মুক্তি গমেজ, বিমান চন্দ্র বিশ্বাস, বিজন চন্দ্র মিস্ত্রি, মাহমুদুল হাসান, ফেরদৌসি কাকলি, নুসরাত বিনতে নুর, নবনীতা জাইদ চৌধুরী, সঞ্জয় কবিরাজ, এস. এম মেজবা।
এতে দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে স্বপ্ন বিকাশ কলা কেন্দ্র, সাধনা সংস্কৃতি মন্ডল, নৃত্যম, ধ্রুপদ কলা কেন্দ্র, ভাবনা, ধৃতি নর্তনালয়, স্পন্দন, নৃত্যাক্ষ, কত্থক, ঢাক নৃত্য, নৃক্কন পারফরমিং আর্ট, নবচেতনা, মুদ্রা ক্ল্যাসিক্যাল ডান্স, পুষ্পাঞ্জলি কলাকেন্দ্র ও দুটি দ্বৈত নৃত্য।