সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, ভাষা আন্দোলনের শহিদদের স্মৃতিবিজড়িত স্থাপনাগুলো সংরক্ষণে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘সংস্কৃতি একুশের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা। তাই ভাষা আন্দোলনের শহিদদের স্মৃতিবিজড়িত স্থাপনাগুলো সংরক্ষণে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কাজ করছে। কোন অবস্থাতেই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে বিলুপ্ত হতে দেয়া যাবে না।’
আজ সকালে রাজধানীর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (এফডিসি) এর ৮নং ফ্লোরে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ‘ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’ আয়োজিত ‘একুশের চেতনা বৃথা যায়নি’ শীর্ষক ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন,‘ জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক অধিসংস্থা ইউনেস্কো পরিচালিত ২০১০ সালের এক সমীক্ষা অনুয়ায়ী বাংলা বিশ্বের সবচেয়ে মিষ্টি ও শ্রুতিমধুর ভাষা। এরপরে দ্বিতীয় ও তৃতীয় মিষ্টি ভাষার মর্যাদা পায় যথাক্রমে স্প্যানিশ ও ডাচ ভাষা। এখন পর্যন্ত বাংলা ভাষা তার পূর্বের অবস্থান ধরে রেখেছে।
কে এম খালিদ বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে ৪৯টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী রয়েছে। বর্ণিল ও বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির অধিকারী এসব নৃগোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতি সংরক্ষণে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।