ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের জাতি বিনির্মাণের জন্য সুষ্ঠু সংস্কৃতি চর্চা অপরিহার্য। আজকের সাম্প্রদায়িকতা, নৈরাজ্য, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস বিস্তারের অন্যতম প্রধান কারণ সুষ্ঠু সংস্কৃতি চর্চার চরম সংকট। সংস্কৃতি চর্চা শক্তিশালী করতে না পারলে যে আদর্শের ভিত্তিতে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তা ভয়ংকর নেতিবাচক পর্যায়ে উপনীত হবে। অপশক্তির বিরুদ্ধে মন্ত্রী সাংস্কৃতিক আন্দোলন জোরদার করতে সাংস্কৃতিক কর্মীদেরকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরাম ও বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমন্বয় পরিষদের যৌথ উদ্যোগে সদ্য প্রয়াত বিশিষ্ট নাট্যজন এসএম মোহসীন আলী, চিত্রনায়ক ওয়াসিম এবং সাহিত্যিক সাঈদ আহমেদ আনিস স্মরণে আয়োজিত ভার্চুয়াল স্মরণ সভায় সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা: মো: মুরাদ হাসান, এমপি, বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমন্বয় পরিষদের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর এসএম মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক সচিব আবদুস সামাদ, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ম. হামিদ, চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পি সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মাহমুদ সাজ্জাদ, ড. খন্দকার শওকত হোসেন প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের সভাপতি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার, সাংস্কৃতিক অঙ্গনে এসএম মোহসীন চিত্র নায়ক ওয়াসিম এবং সাহিত্য অঙ্গনে সাঈদ আহমেদ আনিসের অবদান তুলে ধরেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীনতা পূর্ব আন্দোলনের উত্তাল দিনগুলোতে এসএম মোহসীনের সাথে নাট্য আন্দোলনে এবং মন্ত্রী তার লেখা এক নদী রক্ত নাটক মঞ্চায়নে মোহসীনের ভূমিকার স্মৃতি রোমন্থন করে বলেন, এসএম মোহসীন ছিলেন অসাধারণ প্রতিভার অধিকারি একজন মানুষ। তিনি সাংস্কৃতিক অঙ্গণে একজন ব্যতিক্রমি ব্যক্তিত্ব ছিলেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মোস্তাফা জব্বার ২০১৩ সাল থেকে দেশকে অস্থিতিশীল করতে মহল বিশেষের ভূমিকার সমালোচনা করে বলেন, দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রকারিদের অপপ্রয়াস ভয়ঙ্কর আকারে রূপ নিয়েছে। ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার–প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে জাতীয় চারনীতিকে ধ্বংস করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান প্রয়াত তিন বিশিষ্ট জনের জীবন ও কর্মের উপর আলোকপাত করে বলেন, তারা তাদের কর্মের মাঝে বেঁচে থাকবেন।
বক্তারা প্রয়াত তিন গুণীজনের জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তারা তাদের জীবনী নিয়ে একটি প্রকাশনা বের করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।