সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, ভারতবর্ষের সকল ইতিহাসকে ছাপিয়ে গেছে বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন সংগ্রাম ও ত্যাগ-তিতিক্ষার মাধ্যমে শোষিত-বঞ্চিত বাঙালি জাতির জন্য একটি স্বাধীন- সার্বভৌম ভূখণ্ড উপহার দিয়েছেন। একটি মানুষ কত বেশি ত্যাগ স্বীকার করতে পারেন, তাঁর প্রকৃষ্ট উদাহরণ বঙ্গবন্ধু। তিনি এদেশের মানুষের কল্যাণে তাঁর সারাটি জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন, বিসর্জন দিয়েছেন।
প্রতিমন্ত্রী আজ সকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি) ভবন প্রাঙ্গণে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০২২’ উপলক্ষ্যে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত তিন দিনব্যাপী (১২-১৪ আগস্ট) বঙ্গবন্ধুর জীবনীভিত্তিক পুস্তক প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আবুবকর সিদ্দিক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবুল মনসুর।
প্রধান অতিথি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবনীভিত্তিক পুস্তক প্রদর্শনীর এ আয়োজনটি গতানুগতিকতার বাইরে একটি অসাধারণ আয়োজন। আমি এ আয়োজনটির সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করি। প্রতিমন্ত্রী এসময় সকল জেলা ও বিভাগে আগামীতে এ ধরনের আয়োজন করার জন্য গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের আহবান জানান।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবুল মনসুর বলেন, জাতির পিতা এদেশের মানুষকে ভালোবেসে সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক আন্দোলনের মাধ্যমে বাঙালি জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠা করেন। আর এ বাঙালি জাতীয়তাবাদে এদেশের সর্বস্তরের মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করেন স্বাধীন বাংলাদেশ নামক জাতিরাষ্ট্র। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা বিরোধীরা জাতির পিতাকে হত্যা করে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শকে ভূলুণ্ঠিত করে। তারা ইতিহাস বিকৃতির মাধ্যমে দেশকে উল্টোপথে ধাবিত করেছিল।
সচিব পুস্তক প্রদর্শনীটিকে সময়োপযোগী অভিহিত করে বলেন, এর মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম জাতির সত্য ও সঠিক ইতিহাস জানতে পারবে। গুজব প্রতিরোধেও এ ধরনের প্রদর্শনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে মর্মে তিনি এসময় উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আরকাইভস ও গ্রন্থাগারের মহাপরিচালক ফরিদ আহমেদ ভূঁইয়া, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মোঃ কামরুজ্জামান, কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক মো. জাকীর হোসেন, বাংলাদেশের শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অসীম কুমার দে, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রতন চন্দ্র পন্ডিত, বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার মো: দাউদ মিয়া এনডিসি, বাংলা একাডেমির সচিব এ. এইচ. এম. লোকমান, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুর প্রমুখ।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধুর জীবনীভিত্তিক এ পুস্তক প্রদর্শনীতে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরসহ বাংলা একাডেমি, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর, কবি নজরুল ইনস্টিটিউট, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র ও বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস অংশগ্রহণ করছে। প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল ১০টা হতে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।