কালের পরিক্রমায় বয়স বাড়ে, পরিবর্তন হয় আশপাশের। টগবগে তরুণও একসময় প্রবীণ হন। কিন্তু কেউ কেউ আরও বেশি দিন পর্যন্ত মনের তারুণ্য ধরে রাখতে পারেন। মনের তারুণ্য যখন একটু একটু করে ক্ষয় হতে থাকে, তখনই দেখা দেয় বার্ধক্য, বাড়তে থাকে বিষণ্নতাসহ মনের নানা সমস্যা।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শারীরিক পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী। বার্ধক্যে কমবেশি সবারই ছোট-বড় সমস্যা দেখা দেয়। সবাই কেবল শারীরিক সমস্যার দিকে বেশি মনোযোগ দেন, যার ফলে মানসিক বিষয়গুলো উপেক্ষিত থাকে। বার্ধক্যে সাধারণত যেসব মানসিক সমস্যা বেশি দেখা দেয়, তা হলো, উদ্বেগ, বিষণ্নতা, ঘুমের সমস্যা, স্মৃতিভ্রম ইত্যাদি।তথ্য বলছে, বাংলাদেশে প্রবীণদের মানসিক রোগের হার অনেক বেশি। ৫০ থেকে ৫৯ বছর বয়সী ব্যক্তিদের প্রতি ১০০ জনে ২২ জন আর ষাটোর্ধ্ব মানুষের মধ্যে প্রতি ১০০ জনে ২৮ জন কোনো না কোনো মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানসিক সমস্যার ঝুঁকিও বেড়ে যায়।
মনোসামাজিক পরিবর্তনগুলোর মধ্যে অন্যতম হল একাকিত্ব।এর থেকে বের হয়ে আসতে ও কিভাবে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখা যায় তার একটি সুন্দর সমাধান ও নতুনত্ব পরিকল্পনা নিয়ে রচিত নাটক, বিরাশিয়ান নাট্যগোষ্টির প্রথম প্রযোজনা ‘সবুজসাথী আবাসন প্রকল্প’ আজ ২১ ডিসেম্বর ২০২৪,শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় মঞ্চস্থ হবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায়।নাটকের পাত্র-পাত্রীর অধিকাংশই ১৯৮২ সালে এসএসসি পাস করেছেন।নাটকটি লিখেছেন এবং নির্দেশনাও দিয়েছেন ও প্রযোজনা করেছেন বিরাশিয়ান বন্ধু যথাক্রমে ইঞ্জিঃসামসুদ্দিন সুমি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ফিরোজ আহমেদ।
নাটকটিতে অভিনয় করেছেন বিরাশিয়ান বন্ধুদের মধ্যে রেজাউল হক হিরু ( একরাম), লায়ন হাবিব (হাবিব), রেবেকা সুলতানা (সালমা), জিনাত গাজী (ভাবী), শংকর মৈত্র (কাউন্সেলর), গজনবী খান (নগর বিশারদ), কিউ এম জামান ( চাচা), হুমায়ুন কবীর (সর্দার), মাহবুব (দেভেলপার),এড,নসরুল্লাহ (ব্যবসায়ী),আলতাফ (শিক্ষক), (ডাক্তার), জহির (ছেলে) মুন্না (অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা), ইকবাল (সাংবাদিক), আকতার জামিল স্বপন (শরীর চর্চা শিক্ষক) ও রফিক চরিত্রে এস এম আজাদ হোসেন। এর বাইরে আরো অনেক চরিত্র আছে।