সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, স্বাধীনতাত্তোর কালের অর্জনের মধ্যে এদেশের মঞ্চনাটক অন্যতম। আমাদের সংস্কৃতিতে মঞ্চনাটক নিঃসন্দেহে স্বতন্ত্র একটি অবস্থান তৈরি করেছে। যাদের হাত ধরে এই মঞ্চনাটকের বিকাশ হয়েছে তাদের মধ্যে প্রয়াত নাট্যজন আলী যাকেরের নাম প্রণিধানযোগ্য। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের মঞ্চনাটকের অন্যতম পথিকৃৎ। সৃজনশীলতায় মগ্ন মঞ্চ অন্তঃপ্রাণ এই মানুষটির হাত ধরেই নাগরিক নাট্য সম্প্রদায় বাংলা মঞ্চনাটকের মুকুটে যুক্ত করেছে একের পর এক সাফল্যের পালক।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাতে রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে নাগরিক নাট্য সম্প্রদায় ও মঙ্গলদীপ ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘আলী যাকের নতুনের উৎসব ২০২৩’ শিরোনামে সপ্তাহব্যাপী (২১ থেকে ২৬ জানুয়ারি) নাট্যোৎসবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের সভাপতি আসাদুজ্জামান নূর এমপি’র সভাপতিত্বে উৎসব উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট নাট্যজন ফেরদৌসী মজুমদার।
প্রধান অতিথি বলেন, আলী যাকের ছিলেন আমার অন্যতম প্রিয় অভিনেতা। তার প্রাণবন্ত অভিনয় দেখে সবসময় বিমুগ্ধ হতাম। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমরা মঞ্চনাটকের দলসমূহকে সর্বাত্মক পৃষ্ঠপোষকতার প্রদানের চেষ্টা করি। কে এম খালিদ বলেন, নাগরিক নাট্য সম্প্রদায় এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। তারা কখনো আর্থিক সহযোগিতার আবেদন করেনি। প্রতিমন্ত্রী এসময় নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়কে প্রয়োজনে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা নেয়ার অনুরোধ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে আসাদুজ্জামান নূর এমপি বলেন, মঞ্চনাটকের সমৃদ্ধি আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। তিনি বলেন, ১৯৭৩ সালে সর্বপ্রথম বাংলাদেশে দর্শনীর বিনিময়ে যখন নিয়মিত মঞ্চনাটকের যাত্রা শুরু করেছিলো নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়, তখন কিন্ত নাগরিক নিঃসঙ্গ ছিলো না। তখন আমরা এক দল অন্য নাট্যদলের হাত ধরে চলেছি। একজন আরেকজনের কাছ থেকে শিখেছি এবং এর মাধ্যমে নিজেদের সমৃদ্ধ করেছি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ‘আলী যাকের নতুনের উৎসব ২০২৩’ শীর্ষক নাট্যোৎসবের আহবায়ক সারা যাকের।
উল্লেখ্য, উৎসবে বাংলাদেশের নাট্যাঙ্গনে বিশেষ অবদানের জন্য দেশের বরেণ্য চার গুণিজন সৈয়দ শামসুল হক, জিয়া হায়দার, আলী যাকের ও খালেদ খানের নামে ‘নাগরিক সম্মাননা পদক’ প্রদান করা হয়। এর মধ্যে সৈয়দ শামসুল হক সম্মাননা, জিয়া হায়দার সম্মাননা, খালেদ খান সম্মাননা ও আলী যাকের সম্মাননা পেয়েছেন যথাক্রমে নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ, সৈয়দ জামিল আহমেদ, মাসুদ আলী খান ও নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু।