পেশাগত অনিশ্চয়তার হাত থেকে রক্ষার জন্য সরকারী প্রণোদনা সহায়তা প্রদানের দাবি জানিয়েছেন ডিজিটালাইজেশনের কারনে ক্ষতিগ্রস্ত তুলি শিল্পীরা।
যথাযথ সরকারি প্রণোদনা, পৃষ্ঠপোষকতা ও দিক নির্দেশনা না পেলে অচিরেই দেশ থেকে ঐতিহ্যবাহী তুলিশিল্প বিলুপ্ত হতে পারে বলে আশংকা করছেন তাঁরা।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাজধানী ঢাকার জাতীয় শিল্পকলা একাডেমীতে তুলি শিল্পীদের সংগঠন বাংলাদেশ কমার্শিয়াল আর্টিস্ট এসোসিয়েশনের (বিসিএ) নব-নির্বাচিত কার্যকরী কমিটির পরিচিতি, স্মরণিকা প্রকাশ ও গুণিজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তাঁরা এ দাবি জানান।
সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন, একসময় দেয়ালে রাজনৈতিক শ্লোগান লেখা, ব্যানার, ফেস্টুন, সাইনবোর্ডে সুন্দর হাতের লেখার জন্য তুলি শিল্পীদের কোনো বিকল্প ছিলনা, কিন্তু ডিজিটালাইজেশনের কারণে কারো কাছে তাদের তেমন কোনো কদর নেই। এমনকি তাদের পেশার অস্তিত্ব ও জীবন জীবিকা আজ হুমকির মুখে।
বক্তারা বলেন সরকার বিভিন্নখাতে প্রণোদনা দিলেও তুলি শিল্প খাতে আজ পর্যন্ত কোনো প্রণোদনা দেয়নি। আমাদের মেধা ও শ্রমেরও কোনো মূল্যায়ন করা হচ্ছেনা। ঐহিহ্যবাহী এই পেশা টিকিয়ে রাখার জন্য কোনো পৃষ্ঠপোষকতা ও পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছেনা। ফলে তুলিশিল্প পেশার সাথে জড়িত প্রায় একলাখ শিল্পীসহ তাদের পরিবারের প্রায় তিন লাখ সদস্যের জীবন আজ অনিশ্চয়তার পথে।
নেতৃবৃন্দ পেশাগত ও জীবন মানের উন্নয়নে সরকারি প্রণোদনা প্রদানসহ বিভিন্ন দাবিতে সকল তুলি শিল্পীকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ত্রান ও সমাজকল্যান সম্পাদক শেখ মোঃ আজহার আলী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তুলি শিল্পীদের ভূমিকার ব্যাপক প্রসংশা করেন। এ পেশার উন্নয়নে বর্তমান সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বিসিএ’র সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইমেজেস্ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসাদুজমান, সমাজসেবা কর্মকর্তা মোস্তাফা মাহমুদ সরোয়ার, ডিজিটাল সাইন ভ্যালী লিমিটেডের একেএম আহম্মদ উল্লাহ। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বিসিএ সহ-সভাপতি কামাল হোসেন ও সাধারন সম্পাদক হেলাল মাসুম।
সভাশেষে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়।