মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠতম প্রবহণ আর চলচ্চিত্র সংস্কৃতির উজ্জ্বলতম প্রকাশ। তাই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে চলমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। এসব বক্তব্য উঠে আসে আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের আজকের সেমিনারে।
‘নাসির উদ্দীন ইউসুফ এর চলচ্চিত্রে মুক্তিযুদ্ধ ও সমাজ ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গবেষক, চলচ্চিত্র বিষয়ক লেখক ও কবি গৌতম কৈরী। প্রবন্ধের উপর আলোচনা করেন চলচ্চিত্র নির্মাতা, প্রযোজক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু, মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের পরিচালক ড. মো: মোফাকখারুল ইকবাল। সেমিনার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক মো: নিজামুল কবীর। এ ছাড়াও আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন চলচ্চিত্র পরিচালক ও সম্পাদক আবু মুসা দেবু ও চলচ্চিত্র পরিচালক হাবিবুল ইসলাম হাবিব সহ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট গবেষকগণ।
সেমিনারে চলচ্চিত্র নির্মার্তা নাসির উদ্দীন ইউসুফ তাঁর ‘গেরিলা’ চলচ্চিত্র নির্মাণের নেপথ্য কাহিনী চমৎকারভাবে তুলে ধরেন। মফিদুল হক তাঁর বক্তব্যে বলেন, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্রকে সফল করতে হলে যুদ্ধের শৈল্পিক দিকগুলো যথাযথভাবে তুলে ধরতে হবে। নাসির উদ্দীন ইউসুফ তাঁর চলচ্চিত্রে মুক্তিযুদ্ধকে চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন।
আগামী ২৩, ২৫, ৩০ অক্টোবর চলচ্চিত্র নির্মাণে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার: বাংলাদেশ প্রেক্ষিত, চলচ্চিত্র সংগীতে আজাদ রহমান, বাংলাদেশে নারী নির্মাতার চলচ্চিত্রে নারীর ক্ষমতায়ন, স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে দেশাত্ববোধক গানের বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ ও ১, ৩, ৭, ৯ নভেম্বর হুমায়ুন আহমেদের চলচ্চিত্রের শিল্পরুপ, বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে লোকউৎসব: নান্দনিক পরিসর ও তাত্ত্বিক পর্যালোচনা, সত্তর দশকে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র: শিল্পরূপ ও সাংস্কৃতিক প্রভাব এবং ওটিটি প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশি চলচ্চিত্র শীর্ষক সেমিনার গুলো অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের সেমিনার হলে।