দেশের সকল জেলা-উপজেলায় তথা তৃণমূল পর্যায়ে সংস্কৃতি চর্চা বেগবান করার আহবান জানিয়েছেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাতে সিলেট নগরীর কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ আবৃত্তিশিল্পী সংসদ আয়োজিত দেশব্যাপী আবৃত্তি আয়োজন ‘উচ্চকণ্ঠে উচ্চারো আজ মানুষ মহীয়ান’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা প্রদানকালে এ আহবান জানান।
প্রধান অতিথি বলেন, সংস্কৃতি চর্চা হৃদয়ের খোরাক জোগায়। মানুষকে সৃজনশীল ও মননশীল করে গড়ে তোলে। মৌলবাদ ও প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীকে রুখতে সংস্কৃতি চর্চার বিকল্প নেই। তিনি বলেন, করোনাকালে মানুষের স্বাস্থ্যহানির পাশাপাশি গৃহবন্দি থাকার ফলে মানসিক বিকাশও বাধাগ্রস্ত হয়েছে। তাই করোনা-উত্তরকালে দেশব্যাপী সংস্কৃতি চর্চার প্রসার ঘটাতে হবে।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, আবৃত্তি এক অসাধারণ শিল্পমাধ্যম যা মানুষের হৃদয়কে স্পর্শ করে, কন্ঠকে শাণিত করে, আর চিত্তকে করে বিকশিত। তিনি বলেন, আগে ব্যক্তি উদ্যোগে অনেক সংস্কৃতি চর্চা হতো যা এখন কমে গেছে। বেশিরভাগ সাংস্কৃতিক সংগঠন সরকারি অনুদান বা সহযোগিতার দিকে চেয়ে থাকে। প্রতিমন্ত্রী এ মানসিকতা পরিহারপূর্বক সংগঠনগুলোকে সরকারের পাশাপাশি নিজস্ব উদ্যোগে সংস্কৃতি চর্চা বৃদ্ধির আহবান জানান।
অনুষ্ঠান উদযাপন পরিষদের আহবায়ক প্রফেসর শামীমা চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন কবি তুষার কর। বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম ও সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার পরিতোষ ঘোষ, সিলেট সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক গৌতম চক্রবর্তী ও সিলেট সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত।
শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ আবৃত্তিশিল্পী সংসদের আহবায়ক, বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় ও সদস্য সচিব রূপা চক্রবর্তী। আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আবৃত্তিশিল্পী সংসদ সিলেট বিভাগ ও অনুষ্ঠান উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব সুকান্ত গুপ্ত।
প্রতিমন্ত্রী এর আগে সিলেট শহরের আবুল মাল আবদুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্সে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মহাত্মা গান্ধীকে নিয়ে আয়োজিত‘বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনী’ ঘুরে দেখেন এবং নগরীর ঐতিহ্যবাহী ‘সারদা স্মৃতি ভবন (সারদা হল)’ পরিদর্শন করেন।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন