সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, প্রয়াতদের পাশাপাশি জীবিত বরেণ্য ব্যক্তিদের স্মরণ ও শ্রদ্ধা জানানোর উদ্যোগ নিয়েছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। জীবিত বরেণ্য ব্যক্তিদের জীবন ও কর্ম নিয়ে নিয়মিত সভা ও সেমিনার আয়োজনের মাধ্যমে তাঁদের স্মরণ ও শ্রদ্ধা জানানোর জন্য সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমি, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও জাতীয় জাদুঘরকে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে এসব গুণিজন ও বরেণ্য ব্যক্তিবর্গের জীবনকালেই তাঁদের জীবন ও কর্মের যথাযথ স্বীকৃতি প্রদান করা যাবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ সন্ধ্যায় বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে খ্যাতিমান লেখক ও গবেষক অধ্যাপক গোলাম সামদানী কোরায়শীর ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলা একাডেমি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি বলেন, অধ্যাপক গোলাম সামদানী কোরায়শী ছিলেন ছিলেন একজন কিংবদন্তি, বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী ব্যক্তিত্ব। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য তিনি উদাহরণস্বরূপ। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, গোলাম সামদানীর জীবন ও কর্ম নিয়ে গবেষণার প্রয়োজন। তাঁকে নিয়ে গবেষণার উদ্যোগ নিলে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করা হবে। প্রতিমন্ত্রী এসময় গোলাম সামদানী কোরায়শীর পৈত্রিক ভিটা ময়মনসিংহের গৌরীপুরে একটি স্মৃতিকেন্দ্র স্থাপনের ঘোষণা দেন।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন ও অধ্যাপক বদিউর রহমান। স্বাগত বক্তৃতা করেন বাংলা একাডেমির সংস্কৃতি, পত্রিকা ও মিলনায়তন বিভাগের পরিচালক নূরুন্নাহার খানম। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন গোলাম সামদানী কোরায়শীর জ্যেষ্ঠ পুত্র ইয়াজদানী কোরায়শী কাজল।