সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিমের গান, সৃষ্টিকর্ম ও স্মৃতি সংরক্ষণে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে তাঁর রচিত ৫০০টি গানের মধ্যে ৪৭২ টি গানের স্বত্ব সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে তাঁর পরিবারের রয়্যালটি প্রাপ্তির অধিকারকে নিশ্চিত করা হয়েছে। ‘সাংস্কৃতিক মনীষীদের নামে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে শাহ আবদুল করিম এর নামে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণেরও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রকল্পটির ডিপিপি প্রণয়নের কাজ শীঘ্রই শেষ হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় সংগীত, আবৃত্তি ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম এর ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ সংস্কৃতি ফোরাম আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শাহ আবদুল করিমকে খুব পছন্দ করতেন এবং তাঁর গানের ভক্ত ছিলেন। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, শাহ আবদুল করিম তৎকালীন সুনামগঞ্জ মহকুমা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ছিলেন। তিনি ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে বাউলশিল্পী কামালউদ্দিনসহ বিভিন্ন নির্বাচনী জনসভায় গণসংগীত পরিবেশন করে প্রভূত খ্যাতি অর্জন করেন। তাছাড়া তিনি ১৯৫৭ সালে টাঙ্গাইলের কাগমারী সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ সংস্কৃতি ফোরাম এর সভাপতি ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এর অতিরিক্ত সচিব মফিজ উদ্দিন আহমেদ (আহমেদ ফরিদ) এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য (সিলেট-সুনামগঞ্জ) এডভোকেট শামীমা আক্তার খানম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনারেল সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম চৌধুরী ও নাবিহা এক্সপ্রেসের চেয়ারম্যান সেলিনা চৌধুরী। স্বাগত বক্তৃতা করেন জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন ঢাকার সভাপতি সি এম কয়েস সামী। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম এর ছেলে শাহ নূর জালাল প্রমুখ।
পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।