সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, একসময় ‘নবান্ন’ ছিল গ্রামবাংলার অন্যতম প্রধান উৎসব। অগ্রহায়ণ মাসে নতুন ধান কাটার পর বাংলার কৃষকগণ নবান্ন উৎসবে মেতে উঠতেন। ঘরে ঘরে পিঠা-পুলি তৈরির ধুম পড়ে যেত। যদিও নগরায়নের যান্ত্রিকতায় এ ধারায় কিছুটা ভাটা পড়েছে। তবে কালের পরিক্রমায় নবান্ন উৎসব গ্রাম থেকে শহরে প্রবেশ করেছে। জাতীয় নবান্নোৎসব উদযাপন পর্ষদ গত ২৫ বছর ধরে রাজধানী ঢাকায় নিয়মিত এ উৎসব উদযাপন করে আসছে। সেজন্য তাদের সাধুবাদ জানাই। সারাদেশে একইসঙ্গে নবান্ন উৎসব আয়োজন করা হবে এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এতে প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করবে। নবান্ন উৎসবকে জাতীয় উৎসবে রূপান্তর করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় জাতীয় নবান্নোৎসব উদযাপন পর্ষদ আয়োজিত ‘২৫তম নবান্ন উৎসব ১৪৩০’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
জাতীয় নবান্নোৎসব উদযাপন পর্ষদের সভাপতি সংস্কৃতিজন লায়লা হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন জাতীয় নবান্নোৎসব উদযাপন পর্ষদের সহ-সভাপতি কাজী মদিনা, হাসিনা মমতাজ ও মানজার চৌধুরী সুইট এবং সাধারণ সম্পাদক নাঈম হাসান সুজা প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জাতীয় নবান্নোৎসব উদযাপন পর্ষদের সহ-সভাপতি সঙ্গীতা ইমাম।
অনুষ্ঠানে দলীয় সংগীত পরিবেশন করে সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী, পঞ্চায়েত, সুরনন্দন ও ঢাকা বিশ্ববদ্যালয়ের নৃত্যতরী সাংস্কৃতিক সংগঠন। দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে স্পন্দন, ভাবনা, কথক, নান্দনিক, নৃত্যম, রেওয়াজ পারফর্মিং আর্ট, কালার্স অফ হিল, সৃষ্টিশীল একাডেমি ও নৃত্য বৃত্তি নৃত্য সংগঠন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে শিশু সংগঠন তারার মেলা ও নন্দনকুড়ি। তাছাড়া অনুষ্ঠানের দেশের খ্যাতনামা সঙ্গীতশিল্পী ও নৃত্যশিল্পীগণ যথাক্রমে সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন।
প্রতিমন্ত্রী পরে জনপ্রিয় টেলিভিশন চ্যানেল দীপ্ত টিভির ৮ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রাজধানীর তেজগাঁওস্থ দীপ্ত টিভি স্টুডিওতে ‘৩য় দীপ্ত টিভি অ্যাওয়ার্ড ২০২৩’ প্রদান অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে বিগত এক বছরে ‘দীপ্ত টিভি’ ও দীপ্ত টিভির ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ‘দীপ্ত প্লে’তে প্রচারিত ধারাবাহিক নাটক, একক নাটক, ডাবিংকৃত সিরিজ ও ওয়েবফিল্মসহ মোট দশটি ক্যাটাগরিতে এ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।