চলতি মাসে ডেঙ্গু ভয়াবহ রূপে নিয়েছে। প্রথম দশ দিনে আক্রান্ত ও মৃত্যু চলতি মৌসুমের যেকোনো মাসের প্রথম দশ দিনের রেকর্ড ছাড়িয়েছে।
জনস্বাস্থ্যবিদদের আশঙ্কা, এভাবে বাড়তে থাকলে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরের সংক্রমণ চলতে পারে।
জানা গেছে, চলতি মাসের প্রথম দশ দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন সাড়ে ১০ হাজারের বেশি মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ৫৮ জনের। অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যু নতুন করে বাড়তে থাকে। জ্বরে আক্রান্তরা ডেঙ্গু আতঙ্কে ছুটছেন হাসপাতালে।
জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, বৃষ্টি কমে এডিস মশার প্রজনন অনুকূল পরিস্থিতি বিরাজমান থাকায় ডেঙ্গুজ্বরের প্রকোপ কমতে দেড় থেকে দুই মাস লাগবে। তাছাড়া মশা নিধন কার্যক্রমও জোরালো নয় বলছেন তারা। তাই এডিস মশার প্রজনন প্রবণ স্থানগুলো চিহ্নিত করে একযোগে মশা নিধনে জোর কার্যক্রম চালানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, ডেঙ্গু জ্বর এখন আর সিজনাল রোগ নয়, এটি এখন বছর জুড়েই থাকবে বলে মনে হচ্ছে। তিনি বলেন, ডেঙ্গু আগে বলা হতো সিজনাল রোগ, এপ্রিল-মে মাসে শুরু হয়ে শেষ হতো সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, কম-বেশি ডেঙ্গু সারা বছরেই থাকছে। যদিও শীতে ডেঙ্গু কমার কথা, তবে গত বছর কিন্তু শীতেও ডেঙ্গু ছিল। ফলে আমাদের ভয়—এবারও কমবে কি না; কারণ ডেঙ্গু তো বাড়ছেই। এ বছরও শীতে কমবে কি না তা বলা যাচ্ছে না। এই মেডিসিন বিশেষজ্ঞ বলেন, শীতে ডেঙ্গু না বাড়লেও. কম-বেশি থাকবে। তবে সচেতন থাকতে হবে। সময়মতো চিকিৎসা নিতে হবে। জ্বর হলেই সেটি ডেঙ্গু জ্বর কি না, তা নিশ্চিত হতে জ্বরের প্রথম বা দ্বিতীয় দিনেই এসএস-১ পরীক্ষা করার পরামর্শ দেন এই বিশেষজ্ঞ।