হেপাটাইটিস বি প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো HBV টিকা নেওয়া। এই টিকা হেপাটাইটিস বি ভাইরাস থেকে ৯৫ শতাংশ সুরক্ষা দেয়। নবজাতক, শিশু এবং ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য এই টিকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
নিজের দাঁতের ব্রাশ, রেজর, নেইল ক্লিপার এবং টুথপেস্টের মতো জিনিস অন্যের সঙ্গে ভাগাভাগি করবেন না।
নিরাপদ রক্ত নিন
বাইরে থেকে রক্ত নেওয়ার সময় নিশ্চিত হয়ে নিন যে রক্ত সুরক্ষিত এবং পরীক্ষা করা হয়েছে। অনিরাপদ রক্ত গ্রহণ হেপাটাইটিস বি সংক্রমণের অন্যতম কারণ।
সুরক্ষিত শারীরিক সম্পর্ক
যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সুরক্ষিত পদ্ধতি মেনে চললে হেপাটাইটিস বি সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়।
হেপাটাইটিস বি আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত এড়িয়ে চলুন
হেপাটাইটিস বি-তে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত বা শরীরের তরলের সংস্পর্শে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। কাজেই সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন এবং প্রয়োজনে গ্লাভস ব্যবহার করুন।
জীবাণুমুক্ত ইনজেকশন সরঞ্জাম ব্যবহার করুন
চিকিৎসা বা শরীরে ইনজেকশন দেওয়ার ক্ষেত্রে নতুন এবং জীবাণুমুক্ত ইনজেকশন সরঞ্জাম ব্যবহার করা প্রয়োজন। ব্যবহৃত সুই বা সিরিঞ্জ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়।
মাতৃগর্ভে শিশুর সুরক্ষা নিশ্চিত করুন
গর্ভবতী মায়ের হেপাটাইটিস বি থাকলে সন্তানও আক্রান্ত হতে পারে। তাই গর্ভকালীন সময়ে এই পরীক্ষাগুলো করানো জরুরি এবং সংক্রমণ থাকলে শিশুকে জন্মের পরপরই টিকা দেওয়া উচিত।
স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করলে হেপাটাইটিস বি সংক্রমণের আগাম লক্ষণগুলো জানা সম্ভব হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে হেপাটাইটিস বি শনাক্ত হলে চিকিৎসা গ্রহণ সহজ হয়। পরিবারে কারো হেপাটাইটিস বি আক্রান্ত হলে, দেরি না করে আপনিও পরীক্ষা করান।
এই টিপসগুলো মেনে চললে হেপাটাইটিস বি থেকে সুরক্ষিত থাকা সম্ভব। সচেতনতা এবং সঠিকভাবে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণই হেপাটাইটিস বি থেকে বাঁচার সবচেয়ে কার্যকর উপায়।