বিশ্বজুড়ে ট্রান্সফ্যাট নির্মূলে প্রশংসনীয় অগ্রগতি হলেও থেমে নেই মৃত্যু। ট্রান্সফ্যাট গ্রহণের কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই ঘটে ১৫ দেশে, যার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বাংলাদেশে প্রতিবছর হৃদরোগে যত মানুষ মারা যায় তার ৪.৪১ শতাংশের জন্য দায়ী ট্রান্সফ্যাট। গত ৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) প্রকাশিত ‘বৈশ্বিক ট্রান্সফ্যাট নির্মূল ২০২০’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে ডব্লিউএইচও প্রতি ১০০ গ্রাম ফ্যাটে ট্রান্সফ্যাটের সর্বোচ্চ পরিমাণ ২ গ্রামে সীমিত করা অথবা পারশিয়ালি হাইড্রোজেনেটেড অয়েল-পিএইচওর উৎপাদন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ বিষয়ে বাংলাদেশকে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে। এতে আরও বলা হয়, এ পর্যন্ত ৫৮ দেশ ট্রান্সফ্যাট নির্মূলের নীতি গ্রহণ করেছে। যার মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে ৩.২ বিলিয়ন মানুষ সুরক্ষা পাবে। তবে নীতিমালার অভাবে এখনো ১০০টির অধিক দেশ ট্রান্সফ্যাট ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ডব্লিউএইচওর প্রধান ডা. টেড্রোস
আধানম গেব্রিয়েসুস বলেন, ‘২০২৩ সালের মধ্যে ট্রান্সফ্যাটমুক্ত বিশ্ব অর্জনের যে লক্ষ্য রয়েছে, তাতে আমাদের কোনোভাবেই দেরি করা যাবে না। খাদ্য ট্রান্সফ্যাটমুক্ত করার মাধ্যমে একই সঙ্গে জীবন ও অর্থ দুটোই বাঁচবে। সেই সঙ্গে হৃদরোগ প্রতিরোধের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার ওপর চাপও কমানো যাবে।’
বাংলাদেশে ট্রান্সফ্যাট নিয়ন্ত্রণে নীতিমালা না থাকায় মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে জনস্বাস্থ্য। এমতাবস্থায় দ্রুত সব ধরনের ফ্যাট, তেল ও খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্সফ্যাটের সর্বোচ্চ সীমা মোট ফ্যাটের ২ শতাংশ নির্ধারণ এবং তা কার্যকরের দাবি জানিয়েছে গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা।