English

28 C
Dhaka
শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪
- Advertisement -

শ্বেতি রোগের চিকিৎসায় যা করণীয়

- Advertisements -

ত্বকের স্তরে মেলানোসাইট নামের একটি কোষ থাকে। এই কোষ থেকে মেলানিন নামের একটি পিগমেন্ট তৈরি হয়, যা আমাদের গায়ের রং তৈরিতে ভূমিকা পালন করে থাকে। বিভিন্ন কারণে যখন মেলানিন তৈরিকারক মেলানোসাইট কোষগুলো চামড়ার কোনো নির্দিষ্ট জায়গায় সম্পূর্ণ ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়ে যায়, তখন সে জায়গা হয়ে যায় একদম পুরোপুরি সাদা এবং এ রকমভাবে ত্বকের এক বা একাধিক জায়গা ধবধবে সাদা হয়ে যাওয়ার নামই শ্বেতি।

কারণ

শ্বেতি রোগের সুনির্দিষ্ট কারণ এখনো আবিষ্কার করা না গেলেও এটাকে চিকিৎসাশাস্ত্রের ভাষায় অটো ইমিউন ডিজিজ বলে মনে করা হয়, যেখানে কোনো বিচিত্র রহস্যময় কারণে শরীর নিজের মধ্যে থাকা স্বাভাবিক কোষকেই নিজের শত্রু মনে করে সেগুলাকে নিজেই ধ্বংস করে ফেলে।

তবে এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে রোগীর বংশপরম্পরা যেমন একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে, তেমনি মানসিক চাপ, হতাশা, দুশ্চিন্তা, দুঃখ, অবসাদ এবং এ ধরনের সব নেতিবাচক মানসিকতা ও সঠিক জীবনযাপনপ্রণালী পালন না করার কারণে নিজের শরীরের স্বাভাবিক প্রতিরোধব্যবস্থা বাধাপ্রাপ্ত হওয়াও এ রোগের উৎপত্তির একটি বিরাট কারণ বলে মনে করা হয়।
চিকিৎসা

শ্বেতি রোগের চিকিৎসার ফলাফলের ক্ষেত্রে তিনটি বিষয় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে—

* যত কম সময় ধরে রোগটি শুরু হয়।

* যত কম বয়সে রোগটির আবির্ভাব ঘটে।

* যত কমসংখ্যক আক্রান্ত স্থান থাকে, রোগটি নিরাময় হওয়ার সম্ভাবনা ততই বৃদ্ধি পায়।

বিজ্ঞানের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে শ্বেতির চিকিৎসায়ও এসেছে বহু নতুন বাঁক এবং নতুন চিকিৎসাপদ্ধতি। মূলত শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে যে ধরনের খাবার খাওয়া উচিত তার সবই এই রোগের অন্যতম প্রধান চিকিৎসার অন্তর্গত।

তাই শাকপাতা ও ভিটামিন সি সংবলিত খাবার এখন এই রোগ নিরাময়ের জন্য বিশেষভাবে নির্দেশিত। চিকিৎসার অন্যান্য পদ্ধতির মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ক্রিমজাতীয় ওষুধ রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে বেশ ভালো ফল দিয়ে থাকে।

তবে ক্রিমজাতীয় ওষুধ ব্যবহারের সময় চিকিৎসকের নির্দেশনা সঠিকভাবে মেনে চলা এবং তাঁর সঙ্গে নির্দেশিত সময়ে সাক্ষাৎ করা বিশেষভাবে জরুরি।

সূর্যালোকের সঙ্গে এই রোগের চিকিৎসার বিশেষ একটি সম্পর্ক আছে। সে জন্য অনেক সময়ই কিছু বিশেষ ওষুধ আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে নির্দিষ্ট সময় রোদ লাগালে সেখানে মেলানোসাইট কোষ নতুন করে তৈরি হওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় এবং ধীরে ধীরে আক্রান্ত ত্বক তার স্বাভাবিক রং ফিরে পায়।

পরামর্শ দিয়েছেন

ডা. যাকিয়া মাহফুজা যাকারিয়া

সিনিয়র কনসালট্যান্ট, ডার্মাটোলজি

উত্তরা স্কিন কেয়ার অ্যান্ড লেজার, ঢাকা

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন