শরীরের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলির মধ্যে একটি হলো লিভার। শরীর থেকে টক্সিন (বিষ) বের করার পাশাপাশি এই অঙ্গ বিপাকের হার নিয়ন্ত্রণ করে। হজমে সাহায্য করতে এই অঙ্গটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ কারণে বিশেষজ্ঞরা এই অঙ্গের দিকে যত্নশীল হতে পরামর্শ দেন।
সাধারণত ভুল খাদ্যাভ্যাসের কারণে লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ফলে একাধিক রোগের আশঙ্কা বাড়ে। এ কারণে চিকিৎসকরা নিয়মিত লিভারকে পরিষ্কার (ডিটক্সিফাই) করার পরামর্শ দেন। তা না হলে বড় ধরনের রোগের আশঙ্কা বাড়ে।
বিশেষজ্ঞদের মতে,লিভারে ক্ষতিকর উপাদান জমলে শরীরে নানা ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়। যেমন- অত্যাধিক ক্লান্তি, কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ফোলা, ডায়ারিয়া, প্রস্রাবের রং গাঢ়, পেটে প্রচণ্ড ব্যথা, ব়্যাশ, চুলকানি, বারবার মুড সুইং,মুখ থেকে দুর্গন্ধ, শরীরে পানি জমা ইত্যাদি। এর পাশাপাশি ফ্যাটি লিভার এবং লিভার সিরোসিসেও আক্রান্ত হওয়ারও আশঙ্কা বাড়ে। এ কারণে যে ভাবেই হোক নিয়মিত লিভারকে পরিষ্কার রাখতে হবে। লিভার ডিটক্স বা পরিষ্কার রাখতে যা করবেন-
পানি পান বাড়ান : প্রতি ১৫ দিনে একদিন একটু বেশি পরিমাণে পানি পানি করুন। প্রতিদিন আড়াই লিটার পানি পান করলে এ দিন সাড়ে তিন লিটার পানি পানের চেষ্টা করুন। তা হলেই লিভারে উপস্থিত ক্ষতিকর উপাদান বেরিয়ে যাবে। সেই সঙ্গে এই অঙ্গের কার্যক্ষমতা বাড়বে। তবে যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে তারা বেশি পানি পান করবেন না।
শাক-সবজি খাওয়া বাড়ান : বেশি পরিমাণে শাকসবজি খেতে হবে। কারণ, এ সব প্রাকৃতিক খাবারে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভাণ্ডার। আর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লিভারের প্রদাহ কমায়। সেই সঙ্গে লিভারে থাকা ক্ষতিকর উপাদানকে বের করে দিতেও সাহায্য করে।
কফি খেতে পারেন : সেরা একটি পানীয় হলো কফি। এতে থাকা ক্যাফেইন লিভারের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে এই অঙ্গকে ডিটক্সিফাই করতেও সাহায্য করে। এ কারণে মাসে একবার অন্তত দিনে ৩ থেকে ৪ কাপ কফি খাওয়ার চেষ্টা করুন। তবে চিনি ও দুধ খাওয়া যাবে না। এতে শরীরের উপকারের বদলে ক্ষতি হবে।
গ্রিন টি খান : গ্রিন টি তে থাকা ক্যাটেচিনস শরীরকে সুস্থ-সবল রাখতে সহায়তা করে। এমনকী লিভারের স্বাস্থ্যও ভালো রাখে।