মুখের সবচেয়ে স্পর্শকাতর অংশ ঠোঁট। আর সেই ঠোঁট নানা কারণে কালচে হয়ে যেতে পারে। যার মধ্যে অন্যতম রোদ। কসমোলজিস্টদের মতে, রোদে কেবল মুখত্বক নয়, ঠোঁটও হারাতে পারে স্বাভাবিক রং। ফলে ঠোঁট কালচে আকার ধারণ করে। ঠোঁটের স্বাভাবিক রং ধরে রাখতে দরকার যতেœর।
ঠোঁট কালো হওয়ার দুটি প্রধান কারণ হলো- রোদে অতিরিক্ত থাকা আর সানব্লক ব্যবহার না করা। ভারতের ‘দ্য স্কিন সেন্স, স্কিন অ্যান্ড হেয়ার ক্লিনিক’-এর ত্বক বিশেষজ্ঞ ডা. অ্যালেকিয়া বলেন, রোদে গেলে ঠোঁট ইউভিএ এবং ইউভিবি রশ্মির সংস্পর্শে আসে। ফলে মেলানিনের উৎপাদন বাড়ে এবং ঠোঁট দেখায় কালচে। ঠোঁটের ত্বক সুন্দর ও সুস্থ রাখার উপায় বাতলে দিয়েছেন এই বিশেষজ্ঞ।
এসপিএফ যুক্ত লিপ বাম
ঠোঁটের জন্যও এসপিএফ ব্যবহার করা প্রয়োজন। এতে ত্বকে রোদে পোড়াভাব দেখা দেবে না। ঠোঁটে কমপক্ষে এসপিএফ ৩০ যুক্ত লিপ বাম ব্যবহার করা উচিত। প্রতি দুই ঘণ্টা পর পর এই বাম ব্যবহার করতে হবে। ফলে ত্বক আর্দ্র থাকার পাশাপাশি সূর্যালোক থেকেও সুরক্ষিত থাকবে।
ময়েশ্চারাইজার
শুষ্ক ত্বক দ্রুত কালো হয়ে যায়। ঠোঁটের আর্দ্রতা রক্ষা করা এর সুরক্ষার স্তরকে জোরাল করে। সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি ত্বককে শুষ্ক করে ফেলে ও ক্ষতি করে। তাই দিনের বেলায় সানস্ক্রিনযুক্ত লিপবাম ও রাতে আর্দ্রতা রক্ষাকারী লিপবাম ব্যবহার করতে হবে। ভিটামিন-ই, কাঠবাদামের তেল, কোকোয়া বাটার বা শিয়া বাটার সমৃদ্ধ বাম ব্যবহার উপকারী। এ ছাড়াও সপ্তাহে অন্তত একবার লিপ মাস্ক ব্যবহার করলে ঠোঁটের ত্বক পরিষ্কার ও মসৃণ লাগে।
ঠোঁট এক্সফলিয়েশন
ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে এক্সফলিয়েট করার বিকল্প নেই। ঠোঁটের ওপরের অংশে ময়লা, জীবাণু, রোদের পোড়াভাব, লিপস্টিক বা লিপ বামের অবশিষ্টাংশের দাগ রয়ে যায়। তাই সপ্তাহে অন্তত ঘরে তৈরি এক্সফলিয়েটর দিয়ে ঠোঁট স্ক্রাব করা উচিত। এক চা-চামচ চিনি, কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে ঠোঁটে মেখে রাখতে হবে। মিশ্রণটি গলে যাওয়া পর্যন্ত মালিশ করতে হবে। তবে খুব সাবধানে, আলতোভাবে। ঠোঁটের ত্বক পাতলা হওয়ায় বেশি ঘষাঘষি করলে সূক্ষ্ম ছেদের সৃষ্টি হতে পারে। স্ক্রাব করার পরে ঠোঁট ভালো মতো ধুয়ে আর্দ্রতা রক্ষাকারী কোনো বাম ব্যবহার করতে হবে। এতে ত্বক মসৃণ ও কোমল থাকবে।
বিটরুটের লিপ মাস্ক
বিটরুট প্রাকৃতিকভাবে ঠোঁট গোলাপি ও কোমল করে। এতে আছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা ত্বকের পিগ্মেন্টেইশন কমায়। সপ্তাহে একবার বিটরুটের মাস্ক ব্যবহার ঠোঁটে চমৎকার পরিবর্তন আনে। দুই টুকরা বিটরুট কুচি করে কেটে তাতে সামান্য দুধ যোগ করে পেস্ট করে নিতে হবে, চাইলে এতে সামান্য মধু যোগ করা যায়। ত্বক মসৃণ হবে। মাস্কটি ঠোঁটে মেখে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। নিয়মিত ব্যবহারে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।