রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ফলে শরীরে কি ধরনের সমস্যা হয় তা সম্পর্কে আমরা কমবেশি সকলেই অবগত। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত অনেকের ক্ষেত্রে ইনসুলিন হয়ে ওঠে একমাত্র ভরসা। তবে ওষুধ, ইনসুলিন ইনজেকশনে অভ্যস্ত হয়ে ওঠার আগে ঘরোয়া উপায়েও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণ ইনসুলিন তৈরি করতে না পারলে রক্তের সুগারের মাত্রা বেড়ে যায়। এ কারণে ডায়াবেটিস ঘটে। নিয়মিত ওষুধ সেবন, সঠিক খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়াম ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এগুলোর পাশাপাশি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি মেনে দেখতে পারেন।
আম পাতা: শুনলে অবাক হতে পারেন, আমপাতার সাহায্যেও নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব রক্তের সুগার লেভেল।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্যাকটিন, ভিটামিন সি এবং ফাইবার সমৃদ্ধ আমপাতা ডায়াবেটিস এবং কোলেস্টেরল— উভয় ক্ষেত্রেই অত্যন্ত উপকারী। এই উপাদানগুলো রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে। আমপাতার রস (ম্যাঙ্গিফেরিন) এনজাইম আলফা গ্লুকোসিডেসকে বাধা দেয় এবং এটি অন্ত্রের কার্বোহাইড্রেট বিপাক ক্রিয়া হ্রাস করতে সাহায্য করে। তাই রক্তে বাড়তে পারে না শর্করার মাত্রা।
প্রথমে ১০ থেকে ১৫টি আমপাতা ভাল করে পরিষ্কার করে নিয়ে ঢুবো পানিতে বেশ কিছুটা সময় নিয়ে ফুটিয়ে নিতে হবে। পাতাগুলো ভাল করে সিদ্ধ হয়ে গেলে পানিসহ সসেগুলো সারা রাত (৮-৯ ঘণ্টা) রেখে দিন। পর দিন সকালে খালি পেটে ওই পানি ভাল করে ছেঁকে নিয়ে খেয়ে নিন। সপ্তাহ খানেক এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে রক্তে শর্করার মাত্রা সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। তবে আপনাকে যদি নিয়মিত ডায়াবেটিসের ওষুধ খেতে হয় বা ইনসুলিন নিতে হয়, সেক্ষেত্রে এই টোটকা কাজে না লাগানোই ভাল। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন।
করল্লা: তিন থেকে চারটি করল্লা নিন। এবার ভেতরের বীজগুলো ফেলে করল্লা ব্ল্যান্ডারে দিয়ে জুস তৈরি করুন। নিয়মিত এই জুস খাওয়া রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে উপকারি।
আমলকি: প্রতিদিন দুই বেলা ২০ মিলিলিটার করে আমলকির জুস খাওয়া ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য ভালো। এ ছাড়া প্রতিদিন দুই বেলা আমলকির গুঁড়াও খেতে পারেন। এটি রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
গ্রিন টি: এই ভেষজ চা পেনক্রিয়াসের কার্যক্রম বাড়িয়ে ইনসুলিন তৈরিতে সাহায্য করে। তাই রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত গ্রিন টি পান করতে পারেন।
নিম: নিম আরেকটি চমৎকার উপাদান রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে। প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি নিমের পাতা খালি পেটে খান। এটি ইনসুলিন তৈরিতে সাহায্য করে। এটি ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথির রোগীদের জন্য একটি উপকারি ঘরোয়া উপায়।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন