তুলসীপাতা প্রাচীনকাল থেকে বিভিন্ন রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তুলসী প্রচুর অক্সিজেন উৎপন্ন করে এবং এ গাছের চারপাশে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ সৃষ্টি করে।
তুলসী তিন প্রকার- কালো, সাদা ও বনতুলসী। তুলসী বাঙালির হিন্দু সমাজ পবিত্র মনে করে এবং বিভিন্ন পূজা-পার্বণেও এর বহুল ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়।
বদহজম বা অজীর্ণ রোগে তুলসীপাতা অপরিহার্য। কয়েকটি তুলসীপাতা বেটে ৩-৪টি গোলমরিচ গুঁড়ো করে খেলে বদহজম দূর হয়।
তুলসীপাতা বেটে ১০ গ্রামের বড়ি বানিয়ে দৈনিক এক-দু বার খেলে দুর্বল ব্যক্তি শরীরে শক্তি ফিরে পাবেন।
তুলসীপাতার রস, কাঁচা হলুদের রসের সঙ্গে সামান্য দুধ মিশিয়ে দিনে তিন-চার বার লাগালে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শরীরের সাদা দাগ দূর হয়।
খাদ্যে বিষক্রিয়া হলে বা বিষাক্ত ফল খেলে কিংবা বিষ খেয়ে ফেললে রোগীকে প্রচুর পরিমাণে তুলসীর রস খাওয়ালে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করা যায়।
অন্ডকোষ টনটন করলে তুলসীপাতার রস ছোট চামচ দিয়ে পাঁচ চামচের সঙ্গে অথবা মিছরি মিলিয়ে রোজ তিন-চার বার খেলে ব্যথা কমে যায়।
চোখ উঠলে তুলসীপাতার রস দিনে তিন-চার বার ব্যবহার করলে চোখের যন্ত্রণা কমে যায়।
শরীরে বিশেষ করে মুখে কালো দাগ থাকলে কালো তুলসীর রসের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে কালো দাগে সাত-আট দিন দু-তিন বার করে লাগালে কালো দাগ উঠে যায়।
অধিক প্রস্রাব হলে ২৫ গ্রাম তুলসীপাতার রসের সঙ্গে এক চামচ মিছরির গুঁড়ো মিশিয়ে কদিন দিনে তিনবার করে খেলে ফল পাওয়া যায়।
ঘন ঘন বমি হলে তুলসীর রস ও মধু সমপরিমাণে মিশিয়ে খেলে শিগগিরই বমি বন্ধ হয়ে যায়। যকৃতে কোনো রোগ হলে তুলসীপাতা সেদ্ধ করে ওই পানি ঠাণ্ডা করে খেলে উপকার হয়।