জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয় হওয়ায় দুপুর ২টা থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। হাসপাতালগুলো জেনারেটরের মাধ্যমে সেবা অব্যাহত রেখেছে। তবে কতক্ষণ এ সেবা দিতে পারবে তা নিয়ে শঙ্কিত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারা বলছেন, এ অবস্থায় দ্রুত বিদ্যুৎ না এলে রোগীদের চিকিৎসা ব্যাহত হবে।
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টায় সরেজমিনে রাজধানীর মধ্য বাড্ডা ও উত্তর বাড্ডার ইবনে সিনা, পপুলার ও এএমজেড হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায় জেনারেটরে চলছে সব হাসপাতাল। জেনারেটরের ওপর চাপ কমাতে এসি ও অপ্রয়োজনীয় লাইট-ফ্যান বন্ধ রাখা হয়েছে। বিদ্যুৎ যাওয়ার সাড়ে ৪ ঘণ্টা পরও ফিরে না আসায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পড়েছেন বিপাকে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দ্রুত বিদ্যুৎ না এলে রোগীদের জেনারেটর সেবা দেওয়া কষ্টকর হবে। পেট্রল পাম্পেও তেলের সংকট দেখা দিয়েছে। দ্রুত বিদ্যুৎ ফিরে না এলে যতটুকু সেবা দেওয়া যাচ্ছে তাও দেওয়া সম্ভব হবে না।
পপুলার হাসপাতালের এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা জেনারেটর সার্ভিস দিয়েছি। যেন একেবারে বন্ধ না করতে হয় সেজন্য হাসপাতালের এসি, লাইট কমিয়ে রেখেছি। এভাবে আরও বেশিক্ষণ চললে রোগীদের সেবা দেওয়া সম্ভব হবে না।
এম-জেড হাসপাতালের এক কর্মচারী জানান, পেট্রল পাম্পগুলো থেকে ডিজেল নেওয়া যাচ্ছে না। ডিজেল না পেলে জেনারেটর সার্ভিসও বন্ধ হয়ে যাবে। এছাড়া বেশিক্ষণ একটানা জেনারেটর সার্ভিস দিতে পারে না।
বাড্ডা এলাকার ল্যাব-এইড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে দেখা যায়, জেনারেটরের মাধ্যমে হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষা সচল রাখা হয়েছে। তবে বিদ্যুৎ না এলে জেনারেটরনির্ভর করে হাসপাতাল চালু রাখা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।